ভাঙনের আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে শান্তিপুরের ভাগিরথীপারের বাসিন্দাদের

প্রতি রাত্রে একটু একটু করে সরে যাচ্ছে মাটি! নদীয়ার শান্তিপুরে গঙ্গা অববাহিকায় বসবাসকারীদের দুশ্চিন্তা বাড়ছে ক্রমশ

নদীয়ার শান্তিপুরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড এবং বেলঘড়িয়া দুই নম্বর অঞ্চলে বেশ কিছুটা ভাগীরথী নদী অববাহিকায় ভাঙনের কবলে পড়ছে বিস্তীর্ণ এলাকা।

একটু একটু করে প্রতি দিন গঙ্গাবক্ষে চলে যাচ্ছে, ভিটেমাটি। এর আগেও বেশ কয়েকবার সরব হয়েছিলেন এলাকাবাসী। পাড়ে বাঁধ দিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বারবার।

কিন্তু কোনও লাভ মেলেনি। কেন্দ্র হোক বা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। খুব যখন বাড়াবাড়ি হয়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দু একজনের ক্ষণিকের জন্য পদধূলি মেলে বলে অভিযোগ।

সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য কিংবা ক্ষোভ প্রশমনের জন্য বড়জোর কয়েকটা বালির বস্তা নিয়ে এসে ফেলে দেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় না। ওই বালির বস্তাও কয়েক দিনের মধ্যেই ধুয়ে চলে যায়।

কিন্তু আশ্চর্য ব্যপার, বোল্ডার ফেলে বড় একটি বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের অর্থ মঞ্জুর থাকা সত্ত্বেও এক বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছে, এখনও সিকি ভাগ কাজও হয়নি!

প্রায় ৬০০ পরিবার বর্তমানে নদীধসের কবলে পড় গৃহহীন। তা সত্ত্বেও সরকারি আবাস প্রকল্পের সুফল পৌঁছয়নি এলাকাগুলিতে।

তাই প্রতি রাত্রিতে নদীর স্রোতের আওয়াজ আর দুশ্চিন্তাকে সঙ্গী করে ঘুমোতে যান শান্তিপুরের নদী তীরবর্তী এলাকার গ্রামবাসী। ঝুপঝাপ শব্দে ঘুম ভেঙে যায় আতঙ্কে, এই বুঝি ভাগীরথী কেড়ে নিলো তার শেষ সম্বল টুকু।

কবে সুদিন ফিরবে, আদৌ ফিরবে কি না, কেউ জানে না। তাই নিজের কপাল ও পূর্বপুরুষের নদীর পাড়ে বাড়ি করার সিদ্ধান্তকে দুষে ভাগ্যের কড়ি গুণতে থাকেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।