উত্তর উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ উপকূলীয় ওড়িশায় ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া চলে। কলিঙ্গপত্তনম থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ে। সর্বোচ্চ প্রায় ঘন্টায় ৯৫ কিমি বেগে ঝড় চলছিল সেই সময়ে।
ঘূর্ণিঝড় গুলাবের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে আজকেও বৃষ্টি চলবে। তবে মঙ্গল ও বুধবার বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।
হাওয়া অফিস বলছে ২৮ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে। দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে বৃষ্টি হবে।
২৯ তারিখ বুধবার পশ্চিমের জেলাগুলিতে বেশি বৃষ্টি হবে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমানে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।
ঘূর্ণাঝড়ের প্রভাবে, মঙ্গলবার থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে কলকাতায়। দুর্যোগ আসার আগেই তাই সতর্ক রয়েছে কলকাতা পুরসভা। জল জমলে যাতে তা দ্রুত নামান যায় তার জন্য নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলায় সেভাবে না পড়লেও ঝোড়ো হাওয়া বইবে, সঙ্গে দোসর বৃষ্টি। সেই কারণে দিঘায় উপকূল থেকে মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ ভাসলেও উত্তরবঙ্গে আপাতত কোনওভাবেই ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস নেই। তবে আপাতত বর্ষা উত্তরের আকাশ থেকে বিদায় নিচ্ছে না। বিভিন্ন জেলার কোথাও না কোথাও প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আগামী ২৪ ঘন্টা কলকাতার আকাশ মূলত মেঘলাই থাকবে। কাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিক। অন্যদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২.২ ডিগ্রি ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেটাও স্বাভাবিক বলছে হাওয়া অফিস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯৮ শতাংশ। সর্বনিম্ন ৭৫ শতাংশ।