Lakshmi Puja 2021: লক্ষ্মী পুজো (Lakshmi Puja)-র আগেই ফুল চাষিদের মাথায় হাত। কারণ দুয়ারে নিম্নচাপ। ফুল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
গত কয়েকমাসে বাঁকুড়া জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে কয়েকটা দুর্যোগ। হয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাত। যার জেরে চাষাবাদ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা বিধ্বস্ত এবং বির্পযস্ত।
এখনও তার মাসুল অবিরত গুনে যেতে হচ্ছে প্রান্তিক খেটে খাওয়া মানুষকে। এর প্রভাব থেকে বাদ যায়নি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের পানশিউলি গ্রামের ফুল চাষীরাও।
বছরের এই শারদীয়ার মরশুমের দিকে চেয়ে থাকে এই চাষীরা। তাঁরা আশায় বুক বাঁধেন যে সারা বছরের তাঁদের পরিশ্রমের মূল্য হয়তো তাঁরা পাবেন। কিন্তু আবহাওয়া সেখানে ধাক্কা দিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের ঘোর বর্ষা খড়কুটোর মতো সব ভাসিয়ে দিয়েছে।
দুর্গাপুজো শেষ। বাজারে চাহিদা মতো ফুল যোগান দিতে পারেননি তাঁরা। বর্ষার জেরে নষ্ট হয়েছে তাদের বাগান। যা হওয়ার, হয়ে গিয়েছিল। এসবের পরেও আসন্ন লক্ষীপুজোতে তাঁরা আশা করেছিলেন, তাঁদের চাষ করা ফুল বাজারের চাহিদা অনুযায়ী তারা যোগান দিতে পারবেন এবং কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখবেন।
কিন্তু আবার এক নিম্নচাপ দেখা দেয়। ধনপতি দে নামে এক ফুলের ব্যবসায়ী বলেন, "এক বিঘা ফুলের চাষ করতে খরচ হয় প্রায় কুড়ি হাজার টাকা। যে টাকা তারা মহাজন থেকে নিয়ে চাষ করে কিন্তু লাভের মুখ দূর অর্ধেক টাকাও উঠে আসবে না।"
রাজ্য সরকার অনেক ভাবে উৎসাহিত করছে হয়তো চাষীদের, বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ দিয়ে, কিন্তু প্রান্তিক এই পানশিউলি গ্রামের ফুলচাষীরা এখনও পর্যন্ত বঞ্চিত সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে। এমনই অভিযোগ উঠেছে।
বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক অনুপকুমার দত্ত বলেন, "ফুল চাষীদের এরকম অবস্থার কথা তাদের দৃষ্টির গোচরে এসেছে। কৃষি দপ্তরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে যা ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা দেখা হচ্ছে।"
শাল, পলাশ, ইউক্যালিপটাসে ঘেরা এই প্রান্তিক গ্রামগুলোতে ফুল চাষ করে পেট চলে চাষীদের। অনেক কিছু চাষের পাশাপাশি ফুল চাষ তাদের লাভের অন্যতম হাতিয়ার।