হাওড়ার আলমপুর এলাকায় জাতীয় সড়কের উপরে একটি কারখানায় বিধ্বংসী আগুন লাগে। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন এই মুহূর্তে আগুন নেভানোর কাজ করছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে এই কারখানাতে আলুর চিপস তৈরি করা হয়। কারখানার পেছনদিকে প্রচুর পরিমানে বর্জ্যপদার্থ রেখে দেওয়া রয়েছে। আর সেই থেকেই আগুন আরো বিধ্বংসী রূপ নিয়েছে বলেই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
স্থানীয়দের বক্তব্য।, এত বড় ভয়াবহ আগুন। আর সেই আগুন নেভাতে কম সংখ্যায় দমকলের গাড়ি এসেছে। কারখানার অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা নিয়েও ক্ষোভ দেখান তারা। পাশাপাশি হাওড়ার এই শিল্প পার্ক তৈরির সময় অনেক বেনিয়ম হয়েছে বলেও দাবি স্থানীয়দের।
এই প্রসঙ্গে মশিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য দেবব্রত ভৌমিক দাবি করেন, আগুন দেখে তিনিই প্রথম দমকলকে খবর দেন। কিন্তু খবর পাওয়ার অনেক দেরিতে দমকল আসে। এত বড় বিধ্বংসী আগুন নেভানোর জন্য মাত্র দুটি ইঞ্জিন আসে। তিনি আরো দাবি করেন, বিলম্বে আসার কারণে আগুন আরো ছড়িয়ে পড়ে। তার অভিযোগ এই শিল্প তালুকে যথাযথ অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা নেই। এখানে একটি আলুর চিপসের কারখানাতে আগুন লাগে। প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার শ্রমিক এই শিল্প তালুকে কাজ করে। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলেই তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
মশিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য দেবব্রত ভৌমিকের আরো অভিযোগ, অনেক বেনিয়ম করে এই শিল্প তালুক তৈরি হয়েছে।
পাশাপাশি ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা অলোক কোলে দাবি করেন, আগুন লাগার ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা খুবই হতাশাজনক। প্রশাসন চুপ করে দাঁড়িয়ে আগুন দেখছে বলেই তিনি দাবি করেন। তার আরো বক্তব্য এত বড় আগুন নেভাতে কম দমকলের গাড়ি আনা হয়েছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন ওই কারখানাতে শুধু আলুর চিপস তৈরি হতো না। নাহলে এত বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতো না। পাশাপাশি কারখানাটি জাতীয় সড়কের পাশেই হওয়ার দরুন ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী অন্যান্য যানবাহনের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আলমপুরের ওই চিপস কারখানাতে এখনো আগুন নেভানো সম্ভব হয় নি। আগুনে পুড়ে কত টাকার ক্ষতি হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
পাশাপাশি ওই কারখানাতে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নির্দেশিকা অনুযায়ী ঠিক ছিল কিনা সেটাও তদন্ত করে দেখ হলে বলে দমকল সূত্রের খবর।
এই ঘটনায় এখনো অবধি কোনো হতাহতের খবর না থাকলেও প্রচুর পরিমানে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছে প্রশাসন।