সাধারণত ১ জুন বর্ষা আগমনের কথা থাকলেও এবছর দুই দিন আগেই দেশে ঢুকে গেল বর্ষা। রবিবার মৌসম ভবন জানিয়ে দিয়েছে যে দেশে বর্ষা ঢুকে গিয়েছে।
ফলে এবার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হবে বর্ষার বৃষ্টি। প্রসঙ্গত বিগত বেশ কিছু বছরের রেকর্ড ভেঙে এবার বর্ষার এত দ্রুত আগমন ঘটলো দেশে।
কেরলে বর্ষা ঢোকা মানে বাংলার জন্যেও স্বস্তির খবর। বাংলাতেও এর প্রভাব শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, বর্তমানে ওড়িশার ওপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। এছাড়া নেপাল থেকে ঝাড়খণ্ড পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে একটি অক্ষরেখা। এই দুইয়ের জেরেই সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির প্রভাব একটু বাড়বে। হাওয়ার গতিবেগ ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার থাকবে।
হাওয়া অফিস বলছে, দক্ষিণবঙ্গের জন্য আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, তার সঙ্গে বেশ কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দমকা হাওয়া ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাবে। তবে ৩১ তারিখ থেকে ২ জুন পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির প্রভাব একটু কমবে। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত চলবে।
এদিনও কলকাতায় বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার করে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । তবে দিনের বেলায় গরম এবং আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি থাকবে।
আগামী চার-পাঁচ দিন উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। পয়লা জুন থেকে বৃষ্টির প্রভাব একটু বেশি থাকবে দার্জিলিং, কালিম্পং,জলপাইগুড়ি,কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে।
এদিকে কেরলে বর্ষা প্রবেশ করায় স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠছে , তাহলে কি এবার বাংলাতেও সময়ের আগে বর্ষার আগমন হতে চলেছে?
সাধারণত ১ জুন কেরলে বর্ষা প্রবেশ করে। এবার নির্ধারিত সময়ের তিনদিন আগেই মৌসুমী বায়ু ঢুকেছে কেরলে। কেরল থেকে বাংলায় বর্ষা উত্তর দিক হয়ে ঢোকে। অর্থাৎ প্রথমে উত্তরবঙ্গে আসে বর্ষা। তার পর দক্ষিণবঙ্গে।
সাধারণত, বঙ্গে বর্ষা আসতে আসতে জুন মাসের ৮ থেকে ১০ তারিখ হয়ে যায়। তবে এবারে কেরলে সময়ের আগে বর্ষা এসে পৌঁছনোর কারণে বাংলাতেও বর্ষার দেখা দ্রুত মিলবে কিনা, সে বিষয়ে অবশ্য স্পষ্ট জানায়নি মৌসম ভবন। অবশ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই বাংলায় ঢুকে পড়তে পারে মৌসুমী বায়ু।