বর্ধমানের মা সর্বমঙ্গলার মন্দিরে রীতি মেনে নবান্ন উৎসব ও পুজোর মধ্য দিয়েই রবিবার পুরো রাঢ়বঙ্গে নবান্নের সূচনা হয়ে গেল।
প্রধানত গ্রাম বাংলার আমন ধান জমি থেকে ঘরে আসার পর তা থেকে চাল হলে সেই নতুন চাল প্রথম মা লক্ষ্মীকে এবং পূর্ব বর্ধমানের রীতি অনুযায়ী মা সর্বমঙ্গলার কাছে নিবেদন করা হয়।।
সমস্ত রকমের ফল , চাল, দুধ, দই , ক্ষীর ও গুড় দিয়ে তৈরি পাক দেবীর মুখ্য অন্ন হিসাবে নিবেদন করা হয় । তারপর তা ভক্তদের বিতরণ করা হয়।
৯ রকমের উপাদান দিয়ে এদিন দেবীর ভোগ হয়। যার মধ্যে প্রধান নতুন চালের ভাত এবং নতুন গুড় ও চাল দিয়ে তৈরি পায়েস । আলু, পটল, বেগুন ভাজা , শাক, ৪ রকমের তরকারি , ডাল , চাটনি।
প্রতিবছর মন্দির চত্বরে দেবীর নবান্ন প্রসাদ বসে খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে কিন্তু এবার বসে খাওয়া ব্যবস্থা করা হয়নি তার বদলে মালসায় করে মায়ের অন্নভোগ প্রাসাদ বিলির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তার জন্য আগের দিনই হয়েছে কুপন বিলি । ১২০০ কুপন বিলি করেছে মন্দির ট্রাস্ট বোর্ড বলে জানান শ্রীশ্রী মা সর্বমঙ্গলা ট্রাস্ট বোর্ডের সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ।
গ্রাম বাংলার অন্যতম উৎসব এই নবান্ন। এই সময় কৃষকদের বহু প্রতীক্ষার ধান ওঠে। ধান ঝাড়ার পর সেই ধান দেবীকে নিবেদন করার অনুষ্ঠানই নবান্ন। চালের সঙ্গে ফল মিশিয়ে তা মা লক্ষ্মীকে নিবেদন করা হয়। তৈরি হয় নতুন নানান সুখাদ্য। নবান্ন উপলক্ষে বাড়ি আত্মীয় সজনে ভরে ওঠে। যাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সব মিলিয়ে এই নবান্নকে ঘিরে এখন পূর্ব বর্ধমান জেলায় সাজো সাজো রব।
বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মা সর্বমঙ্গলার মন্দিরে রীতি মেনে অনুষ্ঠিত হলেন নবান্ন উৎসব। মা সর্বমঙ্গলার পুজোর মধ্য দিয়েই রাবিবার গোটা রাঢ়বঙ্গে নবান্নের সূচনা হয়ে গেল। এবার বিভিন্ন এলাকায় গ্রামে গ্রাম গঞ্জের মানুষ নতুন ফসলের নবান্ন উৎসব করবে। নবান্নে বিশেষ পুজোপাঠের পর মা সর্বমঙ্গলাকে নতুন চালের তৈরি ভোগ নিবেদন করা হয়।