আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, সাগরে শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ । আর তার প্রভাবেই বাংলার বেশকিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টি হবে।
ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হয়ে অতি গভীর নিম্নচাপ রূপে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে বিরাজ করছে। এটি আগামী ৩ ঘণ্টার শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপ রূপে থাকবে ।
ইতিমধ্যে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। সোমবারও এই বৃষ্টিপাত চলবে। তারপর ধীরে ধীরে কমতে থাকবে।
রবিবার দুপুর নাগাদ শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে পুরীর কাছে পৌঁছে গিয়েছে। এর পরে তা আরও উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে ওড়িশা উপকূল ধরে।
বাংলার উপকূলে পৌঁছনোর আগেই তা আরও শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে রবিবার মধ্যরাত নাগাদ। তারপর বাংলাদেশের দিকে চলে যাবে।
এদিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের সবকটি জেলাতেই হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের জন্য কমলা সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কারণে।
বাদ যায়নি কলকাতাও। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কারণে হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, বীরভূম, বাঁকুড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমানে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ সোমবার হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া জেলায়। সোমবারের জন্য উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ঘর্ণিঝড়ের বিপদ কাটলেও সমুদ্রে যাওয়ার ব্যাপারে এখনও মৎস্যজীবীদের জন্য লাল সতর্কতা জারি রয়েছে। ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ৬ ডিসেম্বর বিকেল পর্যন্ত ঘন্টায় ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। যার জেরে দিঘা, মন্দাপনি-সহ সমুদ্র উত্তাল থাকবে। ইতিমধ্যে ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে কাকদ্বীপের মুড়িগঙ্গায় নৌকা ডুবেছে। আগামী কাল থেকে ধীরে ধীরে উপকূলের হওয়ার গতি কমবে।
এই সিস্টেম পুরোপুরি সরে না যাওয়া পর্যন্ত শীতের সম্পর্কে কিছুই বলা যাবে না, জানিয়েছে আবহওয়া দফতর। তবে ৭ তারিখ থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। ১১ তারিখ থেকে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমবে।