দীর্ঘ আটাশ বছর পর হৃতগৌরব ফিরে পেল বক্সা পাহাড়। গত প্রায় তিন দশকের কমলা লেবুর (Orange Fruit) খরা কাটিয়ে বক্সা পাহাড় এবার সুজলাং সুফলাং। চলতি বছরে বক্সা পাহাড়ে আনুমানিক ৪০৮ টন কমলালেবু উৎপাদন হবে বলে আশাবাদী আলিপুরদুয়ার উদ্যান পালন দফতরের কর্তারা। আর মাত্র ২ সপ্তাহের মধ্যেই ডুয়ার্সের বাজারে চলে আসবে বক্সা পাহাড়ের কমলালেবু।
যদিও ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বউবাজার সহ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বক্সার কমলালেবু চলে এসেছে। তবে বক্সার 'কমলা সোনা' পুরোমাত্রায় ডুয়ার্সের বাজার ছেয়ে যেতে আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে কমলা রসিকদের।
১৯৯৩ সালে প্রায় ১ লক্ষ কমলা লেবুর গাছ ধ্বংস হয়ে যায়। সেই সঙ্গে বদলে যায় মাটিও। তারপর থেকেই বক্সা পাহাড়ের গৌরব কমলা লেবুর চাষ কার্যত বন্ধ হয়ে যায়।
ফের ২০১৫ সাল থেকে জেলা উদ্যান পালন দফতর বক্সা পাহাড়ে (Buxa Hill) কমলা চাষের উদ্যোগ গ্রহন করে। বক্সার ১৩টি গ্রামে শুরু হয় মাটি পরীক্ষার কাজ। এরপর সেই মাটিকে ফের কমলা চাষের উপযোগী করে তোলা হয়।
২০১৫ সালে বক্সা পাহাড়ের কমলা চাষিদের জেলা উদ্যান পালন দফতর কমলার চারা বিতরণ শুরু করে। ওই বছরই বক্সা পাহাড়ের গায়ে গড়ে ওঠা আদমা,চুনাভাটি, লেপচাখা,তাসিগাঁও, সদরবাজার,সহ মোট ১৩ টি গ্রামে শুরু হয় কমলা লেবুর চাষ।
বক্সা পাহাড়ের চাষিদের কমলা চাষের জন্য কোনও টাকা বিনিয়োগ করতে হয় না। উদ্যান পালন দফতর চাষিদের বিনামূল্যে চারা বিতরণ করে। আর মাটির পরিচর্যা, চারাগাছ রোপণ, জল দেওয়া, সার প্রয়োগ সহ সব কিছু করা হয় ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে।