বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াই এবছর আয়োজিত পৌষ মেলা (Santiniketan Poush Mela 2021)। বৃহস্পতিবার বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে মেলা শুরু। ঐতিহ্য ও নিজস্বতা বজায় রেখে এবছর পৌষ মেলা আয়োজন করা ছিল বীরভূম জেলা প্রশাসনের কাছে একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। প্রাথমিকভাবে সেই চ্যালেঞ্জে প্রশাসন, বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ এবং বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি সফল বলেই মনে করা হচ্ছে। যেভাবে ইতিমধ্যেই মানুষ ভিড় করতে শুরু করেছেন তাতে চিন্তিত প্রশাসন।
ডাকবাংলো মাঠ এবং তার পাশের মাঠ খুলে দেওয়ার পরেও জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না ব্যবসায়ীদের। এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, 'উপাচার্য পৌষ মেলা না করে মানুষকে জব্দ করতে চেয়েছিলেন। সারা রাজ্যের মানুষ তার জবাব দিয়েছেন। এবার মেলাতে রেকর্ড মানুষের ভিড় হবে।'
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ ডাকবাংলো মাঠে মেলার উদ্বোধন করবেন আশ্রমিক এবং ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, সাংসদ অসিত মাল, বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, প্রাক্তন উপাচার্য সবুজকলি সেন, বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বপন দত্ত, পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত, পর্ণা ঘোষ সহ অনান্যরা। রীতি মেনেই করা হবে মেলার উদ্বোধন।
এবার মেলাকে মূলত তিনটি ভাগে করা হচ্ছে। মূল অংশটি হচ্ছে ডাকবাংলো মাঠে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের স্টল থাকবে। একইভাবে সাংস্কৃতিক মঞ্চ থাকছে এই মাঠে। যেখানে পৌষ মেলার ধাঁচে চারদিন বাউল, কীর্তন, ছৌ-নাচ সহ আরও বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে। ডাকবাংলো মাঠের পাশের মাঠে বসছে নাগরদোলা। পেট্রোল পাম্পের পাশের মাঠে বসছে পৌষ মেলার বিখ্যাত কাঠের সামগ্রীর পসরা।
মেলাতে নজরদারী ও নিরাপত্তার জন্য থাকছে সিসিটিভি, অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ও মেলায় ঢোকা-বেরোনোর জন্য বড় গেট। স্টলগুলির মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্বও রাখা হচ্ছে। থাকছে ফুড কোর্ট।
এছাড়াও থাকছে স্পেশাল টিম, যেখানে রাখা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের লোকজন, মহকুমা আধিকারিক দফতরের ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মীদের। তাঁরা মূলত মেলায় কোভিড প্রোটোকল মানা হচ্ছে কি না সেই দিকটায় নজর রাখবেন। মেলা প্রবেশ করতে হলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। যাঁরা স্টলে থাকবেন তাঁদেরও মাস্ক পরতে হবে। নিয়মিত স্টল এবং মেলা প্রাঙ্গন স্যানিটাইজড করা হবে।