Poush Mela: Bolpur Municipality Wants to Organize: পৌষমেলা (Poush Mela)-র আয়োজন করতে চেয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের কাছে আবেদন জানাল বোলপুর পুরসভা (Bolpur Municipality)। অনুমতি না পেলে বিকল্প পৌষ মেলা করার চিন্তা পুরসভার।
পূর্বপল্লী মাঠে পৌষ মেলা করতে চেয়ে বিশ্বভারতী বিশ্বভারতী (Visva-Bharati University) এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট (Santiniketan Trust)-এর কাছে আবেদন জানাল বোলপুর পুরসভা (Bolpur Municipality)। সোমবার তাদের পক্ষ থেকে উপাচার্য এবং ট্রাস্টিদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যদি মেলার মাঠ না দেয় সে ক্ষেত্রে পুরসভা বিকল্প পৌষমেলা (Poush Mela) করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছ। এর জন্য শিবপুর মৌজার গীতবিতান টাউনশিপে বা ডাকবাংলো মাঠে যে জায়গা রয়েছ সেখানে এই মেলা করা হবে।
এই বিষয়ে বোলপুর পুরসভা (Bolpur Municipality)-র পুরপ্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারপার্সন পর্না ঘোষ জানিয়ে দিয়েছেন, সব বিকল্প বিষয়গুলিও ভাবা হচ্ছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল অনুমতি দিলেই আমরা এগিয়ে যাব।
পুরসভার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আশ্রমিক এবং প্রাক্তনীরা। এই বিষয়ে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য সবুজকলি সেন বলেন, পুরসভার আবেদন ট্রাস্ট পেয়েছে। সমস্ত নিয়ম-নীতি মেনে যদি পুরসভা (Bolpur Municipality) পৌষমেলা করতে চায়, তাহলে আমদের কোন আপত্তি নেই।
তিনি আরও জানান, কারণ আমাদের একটাই লক্ষ্য পৌষমেলা (Poush Mela)-কে বাঁচিয়ে রাখা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টি এবং ঐতিহ্যকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
পৌষমেলা করা নিয়ে টানাপড়েন চলছে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর পৌষমেলা (Poush Mela)- করার দাবি জানিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্টকে চিঠি দিয়েছে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি এবং পৌষমেলা বাঁচাও কমিটি।
তাঁদের পক্ষ থেকে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের তৎপরতায় কোভিড পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে।
অনেক জায়গায় গ্রামীণ মেলা এবং বইমেলা হচ্ছে। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ পৌষমেলা (Poush Mela)-র বিজ্ঞপ্তি নিয়ে সর্দাথক এবং ফলপ্রসূ পদক্ষেপ নিন।
এই চিঠি পাওয়ার পর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পৌষমেলা (Poush Mela) আয়োজন করবে কিনা, তা জানতে চেয়ে তাদের চিঠি দিয়েছে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। কারণ মেলা ট্রাস্টের হলেও তা আয়োজন এবং পরিচালনা করে থাকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ (Visva-Bharati University)। এর জন্য মেলার মাঠ চারদিনের জন্য বিশ্বভারতীকে ভাড়া দেয় ট্রাস্ট।
পৌষমেলা (Poush Mela) নিয়ে এই টানাপড়েনের মধ্যে এবার মেলা আয়োজন করতে চেয়ে বিশ্বভারতী (Visva-Bharati University)-র উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এবং শান্তিনিকেতনের টাস্টকে চিঠি দিল বোলপুর পুরসভা। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বোলপুরবাসী এবং পুরসভা শান্তিনিকেতনের ট্রাস্টের নিয়ম এবং নির্দেশ অনুসারে পৌষমেলার একশো পঁচিশ বছরের সমাপ্তি অনুষ্ঠানটি করতে চাই।
শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট যে ভাবে ২০ হাজার টাকা দিয়ে মেলার মাঠ ব্যবহার করে সেই অর্থ দিতেও প্রস্তুত। মেলার পরিচ্ছন্ন এবং সুরাক্ষার দ্বায়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি গ্রিন ট্রাইবুনালের সব দ্বায়িত্ব পালন করা হবে। কোভিড বিধি মেনে ছ-দিনের মধ্যে মাঠ ফেরত দেওয়া হবে। ট্রাস্টের সঙ্গে এই মেলা আয়োজন করা হবে।
এই বিষয়ে বোলপুর পুরসভা (Bolpur Municipality)-র পুরপ্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারপারস পর্না ঘোষ বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টির মধ্যে পৌষমেলা (Poush Mela) অন্যতম। বিশ্বভারতী (Visva-Bharati University) কর্তৃপক্ষ মেলা করতে চাই না। তাই বোলপুরবাসী এবং পুরসভা শান্তিনিকেতনের ট্রাস্ট (Santiniketan Trust)-এর সঙ্গে পূর্বপল্লী মাঠে পৌষমেলা আয়োজন করতে চায়। উপাচার্য অনুমতি দিলে এই মেলার আয়োজন করা হবে।