কাউন্সিলর যেতেই ওয়ার্ডে সাফ আরএসপি, ঝেঁটিয়ে তৃণমূলে যোগ

এতদিন বামেদের সহযোগী দলগুলির সংগঠন যে শুধু কাউন্সিলর ভিত্তিক ছিল, তা প্রমাণ হয়ে গেল আবার। এমনিতেই বামেদের সঙ্গে ইদানীং সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লকের মতো দলগুলির।

তার উপর সিপিএমের সঙ্গে সঙ্গে এই ছোট দলগুলিও অবশেষে মনোবল হারিয়ে দলে দলে যোগ দিচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলে।

রবিবারও ঠিক এমনটাই দেখা গেল শিলিগুড়িতে। শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন আরএসপির রামভজন মাহাতো।

বাম পুরবোর্ডে বরাবরই তিনি আরএসপি কোটায় ভাল পদ পেয়ে আসছেন। মেয়র পারিষদ থেকে ডেপুটি মেয়র পর্যন্ত হয়েছেন।

তিনি যেবার সংরক্ষণের গেরোয় দাঁড়াতে পারেননি। স্ত্রী অঞ্জুদেবী মাহাতোকে দাঁড় করিয়েও জয় হাসিল করে বাম বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন।

তবে এবার পরিস্থিতি অন্য। বিধানসভা নির্বাচনে একেবারে শূণ্য হয়ে যাওয়ায় এবং দলের কাণ্ডারী অশোক ভট্টাচার্য হেরে যাওয়ায় মনোবল তলানিতি ঠেকেছে। 

তাই আগে শত প্রলোভনে পা না দিলেও এবার রাজনৈতিক ভবিষ্যত শেষ হয়ে যেতে পারে আশঙ্কায় তৃণমূলের প্রস্তাবে রাজি হয়ে ঘাসফুল শিবিরে পতাকা তুলে নিয়েছিলেন কদিন আগেই।

এবার ওয়ার্ডে আরএসপি শিবিরে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়ে নিজের অনুগামীদের তৃণমূলে টেনে নিলেন। ফলে কার্যত আরএসপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ৩ নম্বর ওয়ার্ড আরএসপি শূণ্য হয়ে পড়ল।

তৃণমূল জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার, প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব, জেলা যুব সভাপতি কুন্তল ঘোষ, ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা সন্তোষ সাহা, প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র রামভজন মাহাতো নিজে এবং দুই প্রাক্তন কাউন্সিলর কমল আগরওয়াল, সঞ্জয় পাঠক সহ অন্যরা হাজির ছিলেন।

তৃণমূলের দাবি, আরএসপির সঙ্গে বিজেপি ও সিপিএমেরও কর্মীরা দলে যোগ দিয়েছে। ফলে এই ওয়ার্ডটি তৃণমূলের দখলে আসা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।