শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফার দিন মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের ৮ জনের কোর কমিটির সব সদস্যকে দলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় বৈঠকে ডেকেছিলেন। যদিও সেখানে হাজির হয়েছিলেন ৫ জন। গরহাজারি ছিলেন খোদ জেলা সভানেত্রী তথা রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ মৌসম বেনজির নূর।
মৌসমের অনুপস্থিতি নিয়ে জোর রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয়ে যায়। একের পর এক তৃণমূল নেতা যখন দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলছে তখন মৌসমের এই অনুপস্থিতি কোনও অর্থবহ কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে।
তবে শেষমেশ জল্পনার অবসান ঘটালেন গনি খান চৌধুরীর বোনঝি মৌসম বেনজির নূর। দলেই আছেন, শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী
মৌসম বলেন, তাঁর মালদহে দলের সভানেত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার খবর পুরোপুরি ভিত্তিহীন। আশা প্রকাশ করেন আগামী দিনে মালদহে ভালো ফলাফল করবে তৃণমূল কংগ্রেস।
তাঁকে নিয়ে জলঘোলা হওয়ায় দলের একাংশকেই এদিন ঘুরিয়ে দায়ী করেছেন মৌসম। একইসঙ্গে তাঁর সঙ্গে দলের দূরত্ব তৈরির খবর রটানোয় বিরোধীদেরও চক্রান্ত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা এই তরুণী নেত্রীর।
মৌসমের কথায়, "আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। দলনেত্রীর কাছে ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে।" দরকার পড়লে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দিন কয়েক ধরেই মৌসম বেনজির নূরকে নিয়ে তৃণণূলের অন্দরে জল্পনা চলছিল। মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রীর পদ তিনি ছেড়ে দিতে পারেন বলেও খবর উঠে আসছিল।
এমনিতেই নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তৃণমূল যথেষ্ট বিড়ম্বনায় রয়েছে। শুভেন্দু এখনও দল না ছাড়লেও তৃণমূলনেত্রী বিষয়টিকে ক্লোজড চ্যাম্পার হিসাবেই দেখছেন। তৃণমূলের তরফে শুভেন্দুকে দলে রাখতে আর কোনও চেষ্টা চালানো হবে না বলেও সাফ জানানো হয়েছে।
এরই মধ্যে মালদহ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূরকে নিয়েও জল্পনা চলছিল শাসক-শিবিরের অন্দরে। তবে শনিবার সব জল্পনার অবসান ঘটালেই মৌসম নিজেই। সাংবাদিক বৈঠক করে মৌসম পরিষ্কার জানিয়ে দেন, তিনি দলেই আছেন।