বিগত বেশ কয়েক বছরের রেকর্ড ভেঙে সাঁতরাগাছি ঝিলে (Santragachi Lake) এবার রেকর্ড সংখ্যক পরিযায়ী পাখিদের (Migrant Birds) ভিড়। প্রতি বছরের মতো এবারও ঝিলে পাখি গোনার কাজ হয়। তাতেই জানা গেছে এ বছর পাখির সংখ্যা যথেষ্ট বেশি। যদিও পাখিদের প্রজাতির সংখ্যা অনেক কম। তবে এবারে রেকর্ড সংখ্যক পরিযায়ী পাখি আসায় খুশি পক্ষী প্রেমিকরা।
ফি বছর শীত পড়তেই হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি ভিড় জমায় স্টেশন লাগোয়া সাঁতরাগাছি ঝিলে। সাধারণত অক্টোবর মাসের শেষ দিক থেকে হিমালয় পেরিয়ে অথবা পাদদেশ অঞ্চল থেকে পরিযায়ী পাখিরা খাবারের সন্ধানে এখানে চলে আসে। এবছর দেরিতে শীত পড়ায় পরিযায়ী পাখিরা একটু দেরিতে এসেছে। তবে মাঝে কয়েকদিন বেশ ভালো রকম ঠান্ডা পড়ায় দলে দলে পরিযায়ী পাখিরা এখানে ভিড় জমায়।
প্রকৃতি সংসদের পক্ষ থেকে শনিবার পাখি গণনার কাজ হয়। জানা গেছে, এ বছরে মোট ৬৭৪২ টি পরিযায়ী পাখি এসেছে। এদের মধ্যে তিনটি ট্রানস হিমালায়ান প্রজাতির পাখি আছে। তারা হল লেসার হুইসলিং বার্ড, গাডওয়াল এবং নর্দান পিন্টেল। এদের সংখ্যা যথাক্রমে ৬৬৭৪, ৮ এবং ১। এছাড়াও, এগারো প্রজাতির পাখি এসেছে।
এদের মধ্যে কমন মুরহেন, ব্রোঞ্জ জাকানা, পার্পেল হেরন, হোয়াইট ওয়াগটেল, লিটল কর্মরান্ট, গ্রেট ইন্ডিয়ান পনড হেরন এবং হোয়াইট থ্রোটেড কিংফিশার এবং অন্যান্য পাখিরা। প্রকৃতি সংসদের পক্ষ থেকে প্রসেনজিৎ বাবু, জানিয়েছেন গত বছরের তুলনায় এবারে পাখির সংখ্যা বেশি হলেও প্রজাতির সংখ্যা কমেছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগের। তারা এও জানিয়েছেন ঝিলে কচুরিপানার পরিমাণ নির্দিষ্ট থাকার ফলে পাখিরা অনেক সচ্ছন্দে বসবাস করতে পারছে। চারদিকের শব্দ দূষণ এবং উপদ্রব থেকে কচুরিপানায় সহজেই লুকিয়ে থাকা যায়। তাই আগে থেকে কচুরিপানার বংশ বৃদ্ধির ফলে পরিযায়ী পাখিদের সহায়ক হয়েছে।
প্রকৃতি সংসদ সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালে ১৬টি প্রজাতির ৫,৬৯৪ পাখি এসেছিল। যাদের মধ্যে লেসার হুসলিং ডাক ছিল ৫,৬০১।পরের বছর এসেছিলো বারোটি প্রজাতির ৫,৬৫১ টি পাখি। যারমধ্যে লেসার হুইসলিং বার্ড এসেছিল ৫,৫৩৬ টি। এদিকে পরিযায়ী পাখি দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন পক্ষী প্রেমিকরা। অনেকে বাইনোকুলার দিয়ে পাখি দেখছে এবং ক্যামেরায় লেন্স বন্দী করছেন পাখিদের। পরিযায়ী পাখির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় খুশি তারা।