লক্ষ্মী পুজোর পর থেকেই বাতাসে হিমেল পরশ। এই আবহে সকলের একটাই প্রশ্ন, কবে থেকে রাজ্যে পড়বে জাঁকিয়ে শীত?
আগামী পাঁচ দিন রাজ্যে কোথাও কোন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলছে হাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে পরিস্কার হচ্ছে আকাশ, নামছে তাপমাত্রার পারদ। রাতের তাপমাত্রা ২-১ ডিগ্রি করে নামতে শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। কিছু কিছু জায়গায় হালকা কুয়াশাও দেখা যাচ্ছে।
উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঠান্ডা হাওয়া রাজ্যে প্রবেশ করতে শুরু করে দিয়েছে। ভোরবেলার দিকে হালকা শীত অনুভব করা যাচ্ছে।
এই আবহে হাওয়া অফিস বলছে, ১৫ই ডিসেম্বর থেকে একেবারে জাঁকিয়ে শীত পড়বে বাংলায়।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ৯ নভেম্বর তামিলনাড়ুর উপকূলীয় এলাকায় নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।এর জেরে ১১ নভেম্বর থেকে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকবে। তখন তাপমাত্রা সামান্য বারবার সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যে। তবে ১৫ই ডিসেম্বর থেকে রাজ্যে জাঁকিয়ে শীত পড়তে পারে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের সব জেলাতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নীচে নেমে গিয়েছে। বিশেষ করে উত্তর ও পশ্চিমের জেলাগুলিতেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির আশপাশে রয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এদিন উত্তরবঙ্গের একমাত্র দার্জিলিং জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ মঙ্গলবার সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে।
দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলাতেই আগামী ৪৮ ঘন্টা বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। আবহাওয়া শুকনো থাকবে।
আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আকাশ পরিষ্কার থাকার পাশাপাশি আবহাওয়াও শুকনো থাকবে।
আজ কলকাতা শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের ৩ ডিগ্রি কম। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রি কম, বলছে হাওয়া অফিস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ধীরে ধীরে কমছে। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৫ শতাংশ ও সর্বনিম্ন ৩৯ শতাংশ। সকালে ঠান্ডা লাগলেও বেলা বাড়তেই তাপমাত্রা বাড়বে।