গত ৫ মে থেকে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৬ মে থেকে রাজ্যজুড়ে কার্যত লকডাউন জারি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে লোকাল ট্রেনের পরিষেবা এখনও স্বাভাবিক হয়নি।
স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে সাধারণ যাত্রীদের শর্ত সাপেক্ষে ওঠার অনুমতি দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। আপাতত শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মী, ব্যাঙ্ককর্মী ইত্যাদি জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যু্ক্ত ব্যক্তিদের উপযুক্ত প্রমাণপত্র দিয়ে স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে চড়ার অনুমতি মিলেছে।
রাজ্যে বিগত কয়েকদিনে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী। এই পরিস্থিতিতে কি রাজ্যজুড়ে জারি হওয়া বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করা হবে? এ প্রশ্নের উত্তরই এখন জানতে চাইছিলেন বাংলার মানুষ। এই পরিস্থিতিতে বাংলায় কবে থেকে লোকাল ট্রেন চালু হতে পারে, তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে শিশুরাও আক্রান্ত হতে পারেন। কারণ, পর্যাপ্ত টিকা মেলেনি।
এদিন সাংবাদিকদের তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, রাজ্যের অন্তত ৫০ শতাংশ মানুষের করোনার টিকাকরণ না হওয়া পর্যন্ত লোকাল ট্রেনের পরিষেবা স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়। মহামারির আবহে রাজ্যের মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চান না তিনি।
তিনি জানান, শহরের দিকে ৭৫ শতাংশ ১টি ডোড করেও টিকাকরণ হয়েছে। গ্রামের দিকে এটা হয়নি। ফলে লোকাল ট্রেন চালুর বিষয়ে রাজ্য প্রশাসন বেশ কিছুটা সময় নিচ্ছে।
রাজ্যে লোকাল ট্রেন বন্ধ হওয়ার পর থেকেই সড়ক পথে শাক-সবজি, আনাজপাতি ও অন্যান্য পন্যের পরিবহণ ব্যায় বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। আকাশছোঁয়া ডিজেলের দামের প্রভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বর্ধিত পরিবহণ ব্যায় স্থানীয় বাজারেও প্রভাব ফেলছে।
এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে নি জানান, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বিধিনিষেধ বহাল থাকছে। সেই সঙ্গে রাত্রীকালীন বিধিনিষেধে বেশ কিছু ছাড়ের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।