সম্প্রসারিত মোদী মন্ত্রিসভায় জায়গা হল বাংলা থেকে ৪ জনের। যাদের মধ্যে অন্যতম কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক।
শোনা যায় নিশীথকে পছন্দ করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লি গেলে প্রধানমন্ত্রী বসাভবন থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন, তাঁর চলাচল সর্বত্র।
একুশের ভোটের আগে বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখেছিল গেরুয়া শিবির। তখন অমিত শাহ দাবি করেছিলেন "ভূমিপুত্র" হবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আর তাতে নীশিথের নামও উঠে এসেছিল। বিধানসভা ভোটে নিশীথকে বিজেপির দাঁড় করানো সেই জল্পনাকে আরও উস্কে দিয়েছিল।
শুভেন্দু-রাজীবদের মত নিশীথও কিন্তু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিজেপিতে যোগ দেন নিশীথ। তারপর কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসাবে বড় ব্যবধানে জয়।
তবে লোকসভা ভোটের সময় বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের মনোনয়নপত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছিল, সেই সময় তাঁর নামে মোট ১১'টি ফোজদারি মামলা ছিল। এই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি হয় ২০০৯ সাল নাগাদ।
দলবিরোধী কাজ করার জন্য তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস থেকে। তিনি ছিলেন তৃনমুল যুব কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সাধারন সম্পাদক নিশীথ প্রামাণিক।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোচবিহারের রাজনীতিতে শিরোনামে উঠে আসেন নিশীথ প্রামাণিক।তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদকের পদে থাকা নিশীথ প্রামাণিক নিজেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক বলেই প্রচার করতেন।পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের বেশ কিছু আসনে তাঁর অনুগামীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামান।বেশ কিছু ক্ষেত্রে তৃণমূল প্রার্থীদের পরাস্ত করতে সক্ষম হন তিনি। একের পর এক এলাকা তাঁর দখলে যেতে থাকে। এতে তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি ঘোরাল হতেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয় নিশীথ প্রামাণিককে। এরপর লোকসভা ভোটের আগে দিল্লিতে গিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র উপস্থিতিতে দলে যোগ দেন নিশীথ।
নিশীথ প্রামাণিকের হাত ধরে উনিশের লোকসভায় উত্তরবঙ্গে ভাল ফল করেছিল বিজেপি । তাই কোচবিহারের সাংসদের একটা আলাদা গুরুত্ব ছিলই। বিধাননসভা ভোটেও উত্তরবঙ্গে বিজেপি ভাল ফল করেছে। তার স্বীকৃতি হিসেবেই কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছিল।