আবারও আবাস যোজনায় বাড়ির টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাওয়ার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের লাভপুরে। অভিযোগ জমা পড়তেই প্রশাসনের তরফে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। লাভপুর ব্লকের চৌহাট্টা মহোদরী ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মজুমদারডাঙা গ্রামের বাসিন্দা রবাই হেমব্রম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই মতো তাঁর বর্তমান বাড়ির অবস্থা থকিয়ে দেখে বাড়ি পাওয়ার তালিকায় নামও ওঠে। কিন্তু অভিযোগ বাড়ির তৈরির টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি। এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে পান সেখানে লেখা রয়েছে তিনি বাড়ি তৈরির টাকা পেয়ে গিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর বাড়িও তৈরি হয়ে গিয়েছে। এরপরই তাঁর চোখ কপালে ওঠে।
অভিযোগ, ব্লক প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোন সুরাহা মেলেনি। পরে তিনি তথ্য জানার অধিকার আইন বা RTI করে জানতে পারেন, তাঁর বাড়ি তৈরির টাকা অন্য একজনের অ্যাকাউন্টে ঢুকে গিয়েছে। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস পেয়েও এখনও পর্যন্ত কোনও টাকা পাননি বলে দাবি অভিযোগকারী ব্যক্তির। এত বড় ভুল কার গাফিলতিতে হল এটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন।
রবাই হেমব্রম বলেন, 'আমি ২০১৮-১৯ সালে বাড়ির জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু এখনও বাড়ি তৈরির টাকা পাইনি। সবাই পেয়েছে। কিন্তু আমার টাকা ঢোকেনি। BDO-র দ্বারস্থ হয়েছিলাম। কিন্তু তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি। এরপর অনলাইনে দেখি টাকা ঢুকে গিয়েছে। বাড়িও কমপ্লিট হয়ে গিয়েছে। এরপর RTI করে জানতে পারি অন্যের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে গিয়েছে। BDO নিজেও জানান। কিন্তু আজ পর্যন্ত টাকা ঢোকেনি। আমার টাকাটা যেন ফিরে পাই এটাই চাই। আমি CPIM করি, তাই আমার টাকা আটকে রেখেছে।'
যদিও এবিষয়ে বীরভূমের জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ বলেন, 'এনিয়ে বহু অভিযোগ তাঁর কাছেও এসেছে। তিনি ইতিমধ্যেই বেশকিছু অভিযোগ বিডিও-র কাছে পাঠিয়েছেন খতিয়ে দেখার জন্য। বিডিওর কাছে অভিযোগপত্রের কোনও ফটোকপি থাকলে যেন তাঁর কাছে জমা দেওয়া হয়। যেখানে পাঠানোর আমি পাঠাব। অবশ্যই সমস্যার সমাধান করা হবে।' এনিয়ে বিজেপি জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, টশুধু লাভপুর নয়। বীরভূম জেলায় অনেক জায়গায় আবাস যোজনার টাকা প্রান্তিক মানুষ পাননি। তাঁদের বাড়ি হচ্ছে না। অথচ তৃণমূল নেতাদের পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও বাড়ি পাচ্ছেন। এনিয়ে আমরা আন্দোলনে নামব।'
সংবাদদাতাঃ শান্তনু হাজরা