প্রয়াত বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ হাজি নুরুল ইসলাম। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। যকৃতের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। দিল্লি ও কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। বুধবার দুপুরে নিজের বাড়িতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
১৯৯৮ সালের জানুয়ারিতে তৃণমূল কংগ্রেস গঠনের পরই যোগ দেন নুরুল ইসলাম। ২০০৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাহেরা গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছিলেন। ২০০৮ সাল তিনি উত্তর ২৪৫ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য হন। ২০০৯ সালের তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে বসিরহাট থেকে প্রথমবার জয় লাভ করে সাংসদ হয়েছিলেন হাজি নুরুল ইসলাম। ২০১৪ সালে তাঁর আসন বদল হয়। জঙ্গিপুর আসনে দাঁড়িয়ে হেরে যান। ২০১৬ সালে উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া বিধানসভার বিধায়ক হন। ২০২১ সালে ফের হাড়োয়া বিধানসভা থেকে জয়লাভ করেন হাজি নুরুল ইসলাম। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করেন তিনি। তবে গত কয়েক মাস অসুস্থতার কারণে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যেতে হয়। বুধবার নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হাজি নুরুল ইসলাম।
নুরুল ইসলামের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন,'আমার গুরুত্বপূর্ণ সহকর্মী ও বসিরহাটের সাংসদ হাজি নুরুল ইসলামের মৃত্যুতে দুঃখিত। তিনি একটি প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকার একজন নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবক ছিলেন এবং তিনি অনগ্রসর অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের উন্নতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। বসিরহাটের মানুষ তাঁর নেতৃত্ব মিস করবে। আমি তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।'