Cyclone Michaung: বঙ্গোপসাগরের ওই নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়? 'মিগজাউম' নিয়ে যা জানাল হাওয়া অফিস

ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) এদিন সোমবার জানিয়েছে, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে একটি নিম্নচাপ এলাকা তৈরি হয়েছে এবং এটি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং মালাক্কা প্রণালী সংলগ্ন নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে।

Advertisement
বঙ্গোপসাগরের ওই নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়? 'মিগজাউম' নিয়ে যা জানাল হাওয়া অফিস ফাইল ছবি।
হাইলাইটস
  • ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) এদিন সোমবার জানিয়েছে, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে একটি নিম্নচাপ এলাকা তৈরি হয়েছে এবং এটি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
  • আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং মালাক্কা প্রণালী সংলগ্ন নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) এদিন সোমবার জানিয়েছে, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে একটি নিম্নচাপ এলাকা তৈরি হয়েছে এবং এটি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং মালাক্কা প্রণালী সংলগ্ন নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে।

জানা গেছে, এটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং ২৯ নভেম্বরের দিকে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপে ঘনীভূত হতে পারে। তারপর এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং পরবর্তী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় আরও ঘনীভূত হতে পারে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশচন্দ্র দাস 'বাংলা ডট আজতক ডট ইন'কে বলেছেন, ‘তাপমাত্রা কমবে, কিন্তু কলকাতায় তেমন প্রভাব পড়বে না। আকাশ হালকা মেঘলা থাকতে পারে। তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি বাড়তে পারে।’ 

মিগজাউম আপাতত ভারত, বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। চলতি বছরে এটি চতুর্থ ঘূর্ণিঝড়। কিছুদিন আগেই মিধিলি-র রোষের মুখে পড়তে গিয়েও কোনওক্রমে বেঁচে গিয়েছে বাংলা। বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়ে মিধিলি। ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ৮ জনের মৃত্যুরও খবর আসে। তবে বাংলার তরফেও আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী বাড়তি সতর্কতা নেওয়া নেওয়া হয়েছিল। 

জেলাগুলিতে পারদ পতন আগেই শুরু হয়েছিল। ক’দিন ধরে কলকাতা এবং লাগোয়া এলাকাগুলিও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নীচে নেমেছে। শীত প্রায় এসে গিয়েছে ধরে নিয়ে লেপ, কম্বলও বেরিয়ে পড়েছে। কিন্তু শীতের আসার পথে চোখ রাঙিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। পরবর্তী দু-তিনদিনের মধ্যে শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে বদলে যাবে। বুধবার থেকে নিম্নচাপের মেজাজ চড়বে। এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে পারে বলেই অনুমান আবহাওয়াবিদদের।  এর অভিমুখ হবে পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিক অর্থাৎ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে।

কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকাগুলিতে তাপমাত্রা আপাতত ২০ ডিগ্রির আশপাশেই থাকবে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে কার্যত শীতের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হবে। ইতিমধ্যেই পুরুলিয়া, বাঁকুড়া সহ পশ্চিমের বেশ কিছু জেলায় তাপমাত্রা ১৫-১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে। পশ্চিমে তাপমাত্রা আরও নামতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement