দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে PhD কোর্সে অ্যাডমিশন হচ্ছে জেলবন্দি মাওবাদী নেতা অর্ণব দামের। আজ অর্থাত্ সোমবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে PhD-তে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হল অর্ণবের। অর্ণবের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়াও বিকেলে হবে বলে জানা যাচ্ছে। মাওবাদী নেতা অর্ণব দাম ওরফে বিক্রমকে রবিবার হুগলির সংশোধনাগার থেকে বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মাওবাদী অর্ণব দামের PhD অ্যাডমিশন শুরু
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ণব দাম যাতে নির্বিঘ্নে PhD-তে ভর্তি পারেন, তার জন্য মাঠে নেমেছিলেন তৃণমূল নেতা তথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কথা বলেছিলেন কারামন্ত্রী অখিল গিরি ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গেও। অর্ণবের PhD অ্যাডমিশনে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরাসরি দুষেছিলেন কুণাল। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD-র অ্যাডমিশন টেস্টে অর্ণব দাম প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। অ্যাকাডেমিক স্কোর ও ইন্টারভিউয়ের প্রাপ্ত নম্বরের নিরিখে সর্বোচ্চ নম্বর পান তিনি। কিন্তু হঠাৎ স্থগিত করে দেওয়া হয় ইতিহাস বিভাগে তাঁর ভর্তির প্রক্রিয়া।
শিলদা সেনা ক্যাম্পে হামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অর্ণব
হুগলিতে সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন অর্ণব। আপাতত তাঁকে বর্ধমানে সংশোধানাগের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২০১০ সালে ঝাড়গ্রামের শিলদায় সেনা ছাউনিতে মাওবাদী হামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অর্ণব দাম। ওই হামলায় মৃত্যু হয় ২৪ জন জওয়ানের। পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয় পাঁচজন মাওবাদীর।
হস্তক্ষেপ করেছিলেন কুণাল ঘোষ
অর্ণবের PhD ভর্তি প্রক্রিয়ায় যাতে কোনও বাধা না আসে তার জন্য কুণাল ঘোষ হস্তক্ষেপ করেন। X হ্যান্ডেলে কুণাল লেখেন, 'হত্যার রাজনীতির বিরোধী আমরা। আমরা ওর মুক্তি চাইছি না। বন্দি থেকেই যদি উচ্চশিক্ষায় এগোতে চায় অর্ণব, পিএইচডি করে, যোগ্যতা প্রমাণ দেয়, সেটাও সমাজে রূপোলী রেখা হয়ে থাকুক। মাওবাদী অভিযোগে বন্দি অর্ণব দামকে পিএইচডি করতে দিতে হবে। ও যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। শিক্ষামন্ত্রী ও কারামন্ত্রীর কথা হয়েছে। ওঁরা সহযোগিতা করবেন। অর্ণবকে হুগলি থেকে বর্ধমান জেলে সরানো হবে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ আন্তরিক । তবে উপাচার্য অকারণ জট তৈরি করে বাধা দিচ্ছেন।'