প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। দীর্ঘদিন ভুগছিলেন তিনি। সক্রিয় রাজনীতি থেকেও দূরেই ছিলেন। শুক্রবার ভাঙড়ের বাঁকড়ি গ্রামে নিজের বাড়িতেই তিনি প্রয়াত হন। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল।
৭৭ সাল থেকে বাংলার রাজনীতির ময়দানে তাঁর অবাধ বিচরণ ছিল। বাম জামানায় দীর্ঘদিন ধরেই মন্ত্রিসভার সদস্যপদ সামলেছেন। বাম আমলে ছিলেন ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের মন্ত্রী। ২০১৪ সালে দল বিরোধী কথা বলার কারণে তাঁকে বহিস্কার করে সিপিএম। এর পর নতুন পার্টি গঠন করেছিলেন রেজ্জাক। নাম রেখেছিলেন ভারতীয় ন্যায়বিচার পার্টি।
এরপর ২০১৬ সালে যোগ দেন তৃণমূলে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভাঙড় থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে টানা জয়ের ধারা অব্যাহত রাখেন রেজ্জাক মোল্লা। জিতে খাদ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের মন্ত্রী হয়েছিলেন। তবে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করেনি তৃণমূল। শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে দলনেত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন অনেক আগেই। দীর্ঘদিন ধরেই ভীষণ অসুস্থ ছিলেন। দীর্ঘদিনেই এই দাপুটে রাজনীতিবিদ সারাদিন গৃহবন্দি হয়েই ছিলেন। চলাফেরা তেমন করতে পারেন না বলে হুইলচেয়ার ব্যবহার করতেন।
রেজ্জাক মোল্লার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, 'আমার সহকর্মী, আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা’র প্রয়াণে আমি শোকাহত ও মর্মাহত। তিনি রাজ্য মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী ছিলেন। তাঁকে আমি শ্রদ্ধা করতাম, সম্মান করতাম। বাংলার গ্রামজীবন, কৃষি-অর্থনীতি ও ভূমি-সংস্কার বিষয়ে তাঁর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ছিল সুবিদিত। তাই একসময় অন্য ধারার রাজনীতি করলেও, মা-মাটি-মানুষের সরকারে তাঁর মিলিত হয়ে যাওয়া ছিল সহজ ও স্বাভাবিক। তাঁর প্রয়াণে বাংলার রাজনৈতিক জীবনে অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হল। আমি তাঁর পরিবারবর্গ, অসংখ্য অনুগামী ও শুভানুধ্যায়ীকে আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই।'