
বাংলার একাধিক জেলায় বাঘের আতঙ্ক। ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৈপীঠ, বাঁকুড়ার পর এবার পুরুলিয়া। ঝাড়খণ্ডের জঙ্গল থেকে একটি বাঘ ঢুকে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল চলছে। ঝাড়গ্রামে পায়ের ছাপও মিলেছে। এই আতঙ্কের আবহের মধ্যেই এবার পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে মিলল বাঘের পায়ের ছাপ। এই বাঘটি কি ঝাড়খণ্ডের জঙ্গল থেকে ঢুকে পড়া রয়্যাল বেঙ্গল? বাঁকুড়া হয়ে বাঘটি কি পুরুলিয়ায় ঢুকে পড়ল? একাধিক প্রশ্ন উঠছে।
পুরুলিয়ায় বাঘের পায়ে ছাপ
আজ অর্থাত্ মঙ্গলবার সকালে পুরুলিয়ার বোরোর নেকড়ার বেলডুংরি এলাকায় দেখা মিলল বাঘের পায়ের ছাপ। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে পায়ের ছাপ দেখতে পান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বনকর্মীরা। ঝাড়খণ্ডের বাঘটিই এবার পুরুলিয়ায় ঢুকে পড়ল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আবার নতুন করে আরও একটি বাঘের আগমনের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে সুন্দরবন সংলগ্ন মৈপিঠেও বাঘকে খাঁচা বন্দি করা হয়েছিল রবিবার রাতে। বাঘটিকে জঙ্গলে ছেড়েও দেয় বনকর্মীরা। কিন্তু ফের মৈপিঠে মিলেছে বাঘের পায়ের ছাপ। ফলে ওই বাঘটিই আবার ফিরে এল কিনা, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। বনকর্মীদের একাংশের অনুমান, আগের বাঘটিই হয়তো ধরা পড়ার আগে এই পথে হেঁটেছিল, তাই পায়ের ছাপ পুরনো।
ঝাড়গ্রামের বাঘটিই পুরুলিয়া ঢুকে পড়ল?
গত রবিবারই ঝাড়খণ্ডের জঙ্গল থেকে ঢুকে পড়া বাঘটি ঝাড়গ্রামে রয়েছে বলে জানিয়েছিল বনদফতর। কিন্তু আজ পুরুলিয়ায় বাঘের পায়ের ছাপ পাওয়ায় বনকর্মীদের একাংশের অনুমান, ঝাড়গ্রাম ছেড়ে বাঘটি সম্ভবত পুরুলিয়ায় ঢুকেছে।
গত ডিসেম্বরে ওড়িশার সিমলিপাল থেকে বেরিয়ে ঝা়ড়খণ্ড হয়ে ঝাড়গ্রামে ঢুকে পড়েছিল জ়িনত। সেখান থেকে পুরুলিয়া হয়ে বাঘিনি আস্তানা গেড়েছিল বাঁকুড়ার জঙ্গলে। সেখানে তাঁকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে খাঁচাবন্দি করে বন দফতর। পরে তাকে আবার সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই ঘটনার পর ফের ঝাড়গ্রামে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্কিত ঝাড়গ্রামবাসী।