গঙ্গাসাগরে শুরু হয়ে গিয়েছে মেলা। রবিবার থেকেই গঙ্গাসাগরে দেশের নানা প্রান্তের পুণ্যার্থীদের ভিড়। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, আমলারাও সবাই সাগরদ্বীপে পৌঁছে গিয়েছেন। মঙ্গলবার মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে গঙ্গাসাগরে লক্ষ লক্ষ ভক্ত পুণ্যস্নান করবেন। ভিড় এড়াতে অনেকেই আগেভাবে পুণ্যস্নান সেরে কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দিচ্ছেন। পয়লা জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত গঙ্গাসাগরে ৪২ লক্ষ মানুষ পুণ্যস্নান করেছেন বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
এখনও পর্যন্ত গঙ্গাসাগরে ৩ জনের মৃত্যু
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ১৪ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সকাল ৬ টা ৫৮ মিনিট থেকে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নানের সময় শুরু হবে। চলবে ১৫ জানুয়ারি (বুধবার) সকাল ৬ টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত। গঙ্গাসাগরে এখনও পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গিয়েছে। প্রশাসন জানাচ্ছে, তিনটি মৃত্যুই হার্ট অ্যাটাকে হয়েছে।
মহাকুম্ভের জেরে ভিড় কম হওয়ার সম্ভাবনা
এ বছর প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ। তাই গঙ্গাসাগরে ভিড় অপেক্ষাকৃত কম হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, সাধু-সন্তেরও ভিড়ও অন্যবারের তুলনায় কিছুটা কম। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসনের আশা, মঙ্গলবার মকর সংক্রান্তিতে ব্যাপক ভিড় হবে সাগরে। সেই ভিড় সামলাতে ১৩ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। সিসিটিভি-তে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা চত্বর।
দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী-আমলারা গঙ্গাসাগরে
কলকাতায় গঙ্গাসাগর যাত্রীদের জন্য তৈরি অস্থায়ী শিবির তৈরি হয়েছে বাবুঘাটে। দায়িত্বে রয়েছেন কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ এবং মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। কাকদ্বীপের লট-৮ নদীঘাটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল, কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি নীলিমা মিস্ত্রি, কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার এবং মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদারকে। সাগরদ্বীপের প্রবেশপথ কচুবেড়িয়াতে থাকবেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, প্রাক্তন সাংসদ মণীশ গুপ্ত, বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। আর মেলাপ্রাঙ্গণের ঘাটের দায়িত্বে রাখা হয়েছে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী এবং প্রাক্তন সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তীকে। ১০-১২ জন সচিবও দায়িত্বে থাকবেন।