দিঘায় পুরীর আদলে জগন্নাথ মন্দির গড়েছে রাজ্য সরকার। আগামী ৩০ এপ্রিল মন্দিরের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সব কিছুর মধ্যে দিঘার সমুদ্রে ভেসে এসেছে জগন্নাথদেবের মূর্তি। এখন প্রশ্ন হল, এই ঘটনাটি কি আদৌ অলৌকিক? কারণ, দিঘার গ্রাম খাদালগোবরার বাসিন্দা কল্পনা জানা যা দাবি করলেন, তাতে তথাকথিত অলৌকিক ঘটনা বলে যে প্রচার চালানো হয়েছে, তাতে জল ঢেলে দিচ্ছে।
অনেকেই দাবি করছেন, অলৌকিক ঘটনা
দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের আগে হঠাত্ সমুদ্রে জগন্নাথের মূর্তি ভেসে আসার খবরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অনেকেই দাবি করছেন, অলৌকিক ঘটনা। জগন্নাথদেব স্বয়ং নাকি মন্দিরে হাজির। এহেন আলোচনা যখন তুঙ্গে, তখন চাঞ্চল্যকর দাবি করে যেন হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন খোদালগোবরা গ্রামের বাসিন্দা কল্পনা জানা। তাঁর দাবি, ওই মূর্তিটি ভেসে আসা আদৌ অলৌকিক কিছু নয়। ১ বছর আগে থেকে তাঁদের দুর্গামন্দিরে পুজো করা হত মূর্তিটি। রবিবার দুপুরে মূর্তিটি ভাসিয়ে দেওয়া হয়। সেই মূর্তিই ভেসে ওঠে মাইতি ঘাটে।
ঠিক কী বলছেন কল্পনা?
তাঁর বক্তব্য, দুর্গা মন্দিরে জগন্নাথের পুজো করতে নেই শুনেই তাঁরা মূর্তিটি ভাসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কল্পনার কথায়, 'আমাদের বাড়ির পাশে বস্তির ছেলেগুলি সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে জগন্নাথদেবকে নিয়ে এসেছিল বছর খানেক আগে। ঠাকুর ভেসে এসেছিল না কারা নিয়ে এসেছে আমরা জানি না। ওরা ঠাকুর নিয়ে এসেছিল। এক বছর আগে আমাদের মন্দিরে বসিয়েছিল ঠাকুর। আমরা পুজো করছিলাম বামুন ঠাকুর দিয়েই। দুর্গাপুজোর সময় জগন্নাথ মূর্তিটি রংও করেছি। হাত ফেটে গিয়েছিল, ঠাকুরের মূর্তিতে খুঁত ধরা পড়ায়, আমরা আচার্যকে জিগ্গেস করেছিলাম, কী করব।'
আচার্যর বিধানেই সমুদ্রে ভাসানোর সিদ্ধান্ত
গ্রামের আচার্যের পরামর্শেই ওই জগন্নাথ মূর্তিটি ভাসিয়ে দেওয়া হয় বলে দাবি করছেন কল্পনা। তাঁর কথায়, 'যারা এনেছিল, তাদের ঢেকে সমুদ্রে ভাসিয়ে দিন। আমরা কাল রাতে জানলাম, সেই ভাঙা ঠাকুরটি নাকি দিঘার সমুদ্রে ভেসে উঠেছে। পুরো মিথ্যে টেলিকাস্ট। ওটা আমাদেরই ঠাকুর ছিল। আমাদের কাছে ফটোও আছে। কোনও অলৌকিক কাহিনি নয়।'