গাঁজা পাচারের ছক বানচালগাঁজা পাচারের ছক ভেঙে বড় সাফল্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের। এই ঘটনায় মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর অঞ্চলের সুতি পুলিশ স্টেশনের পক্ষ থেকে ৩ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩৪.৫ কেজি গাঁজা। এতটা পরিমাণ মাদক গাড়ির মাধ্যমে পাচার করা হচ্ছিল। তখনই পুলিশকর্মীরা গাড়িটিকে আটক করে। তারপরই মেলে এতটা পরিমাণ গাঁজা।
কীভাবে মিলল সাফল্য?
পুলিশ সূত্রে খবর, এই অপারেশনের কোড নেম ছিল 'মাদক'। এ দিন যে মাদক পাচার হতে পারে, সেই খবর কিছুদিন আগেই পেয়েছিল পুলিশ। জানা গিয়েছিল, লাল রঙের একটি গাড়িতে করে গাঁজা পাচার হবে। সেই মতো আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল পুলিশ। করা হয়েছিল প্ল্যান।
এক্ষেত্রে সুতি পুলিশ স্টেশনের পক্ষ থেকে বহরমপুরগামী চাঁদের মোড়ে সাই হোটেলের সামনে নাকা চেকিং বসানো হয়। আর তাতেই সাফল্য।
বিকেল ৪.৩০ নাগাদ লাল রঙের একটি গাড়ি এসে পৌঁছয় চেকপয়েন্টে। পুলিশের দল তখনই গাড়িটাকে আটকায়। শুরু হয় তল্লাশি। তবে প্রাথমিক তল্লাশির পর তেমন কিছু পাওয়া যায়নি গাড়ি থেকে। তাতে একটু সমস্যায় পড়ে পুলিশেরা। যদিও সাব ইন্সপেক্টর মহম্মদ শাহজাহানের নেতৃত্বাধীন টিম আরও গভীর তল্লাশি চালায়। তাঁরা গাড়ির বিভিন্ন কোণে খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করেন।
আর তাতেই মেলে সাফল্য। অনেক তল্লাশির পর পুলিশের হাতে আসে গাঁজা। এই মাদক গাড়ির ডিকির তলার একটি কম্পার্টমেন্টে লোকানো ছিল।
পুলিশের পক্ষ থেকে খবর, গাঁজা পাচারের জন্য বিরাট কসরত করেছে পাচারকারীরা। এমন জায়গায় মাদক লোকানো হয়, যেটা খুঁজে বের করতে বেগ পেতে হয় পুলিশ অফিসারদের। তবে সুতি পুলিশ সেই প্ল্যান বানচাল করে দেয়। তৎক্ষণাৎ গ্রেফতার করা হয় তিন জনকে। এদের নাম হল বাপান সরকার, প্রেমশঙ্কর পোদ্দার এবং দেবু বিশ্বাস।
বিরাট সাফল্য
৩৪.৫ কেজি গাঁজা পাচারের ছক বানচাল করা খুব বড় সাফল্য বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে পাচারকারীদের মধ্যে একটা ভয় কাজ করবে। যার ফলে আগামিদিনে এই ধরনের দুঃসাহসিক কাজ করার প্রবণতা কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে।