মালদায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ত্রাণ শিবিরে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন আক্রান্তরা। কিন্তু পুলিশ তাঁদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এ দিন ট্রেনে চড়ে মালদায় পৌঁছন রাজ্যপাল। ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেন। দেখা করেন হিংসায় আক্রান্তদের সঙ্গে।
রাজ্যপাল বোস বলেন, 'আমি ত্রাণ শিবিরে থাকা মানুষের সঙ্গে দেখা করেছি। সব কথা শুনেছি। আমি তাঁদের আবেগ বুঝতে পেরেছি। যথাবিহিত পদক্ষেপ করা হবে। মহিলারা জানিয়েছেন, তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছে, দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকেছে এমনকি মারধরও করা হয়েছে। অশ্লীল ভাষাও ব্যবহার করেছে ওরা'।
১১ এপ্রিল ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছিল মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে। সেখান থেকে ছড়ায় হিংসা। বহু হিন্দু পরিবার মালদায় পালায়। তাঁদের সঙ্গেই দেখা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে সেখানে না যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, রাজ্যপাল মালদা সফর বাতিল করেননি।
রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, তিনি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন। তারপর কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করবেন। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন,'পশ্চিমবঙ্গে হিংসার যুগের অবসান হওয়া উচিত। তবেই শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে'।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে মুর্শিদাবাদ সফর স্থগিত করার জন্য আবেদন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'আমি রাজ্যপালের কাছে আবেদন করব যেন তিনি আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করেন। কারণ শান্তি পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। রাজ্যপালের মালদা সফরের আগে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মুর্শিদাবাদ হিংসায় গৃহহীনদের নিয়ে রাজভবনে যান। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করান।
শুক্রবার সকালে ট্রেনে মালদার উদ্দেশে রওনা দেন রাজ্যপাল বোস। তিনি বলেছিলেন,'আমি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবন। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করব। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেব। আমি হাসপাতাল, ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি এবং ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করব'। তিনি আরও জানান যে মালদার পর তিনি মুর্শিদাবাদও যাবেন।