পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ব্লকের জয়েন্ট বিডিও পলাশ পোদ্দার। তাঁর নাম করে ওই ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানদেরকে করা হচ্ছে ফোন। ফোনের একপাশ থেকে বলা হচ্ছে আমি পলাশ পোদ্দার বলছি, প্রধান এবং উপ প্রধানের কোটায় দুটি চাকরি রয়েছে যদি আপনি আপনার পরিচিত কাউকে চাকরি করাতে চান তাহলে টাকা পাঠান।
যে ফোন নম্বর ব্যবহার করা হচ্ছে সেটি একটি অপরিচিত নম্বর। এখনও পর্যন্ত এই ফোন পেয়েছেন পাঁশকুড়া ব্লকের অন্তর্গত পাঁশকুড়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েত,ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, চৈতন্যপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ প্রধানেরা। বিষয়টি নিয়ে প্রত্যেকেই হতবাক হয়েছেন। সন্দেহ হতেই তৎক্ষণাৎ বিষয়টি পাঁশকুড়া ব্লকের বিডিও ও জয়েন্ট বিডিও কে জানিয়েছেন প্রধান ও উপপ্রধানরা। অভিযোগ আসার পরেই পাঁশকুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন পাঁশকুড়া ব্লকের জয়েন্ট বিডিও পলাশ পোদ্দার।
তিনি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন,'১৯ তারিখ ৫-৬ জন প্রধানকে ফোন করা হয়েছে আমার নাম করে। তাঁদের বলা হয়েছে বিডিও অফিস ও পঞ্চায়েত অফিসে চাকরি দেওয়ার কথা। আমার কাছে অভিযোগ আসার পরেই আমি পাঁশকুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি'।
এ নিয়ে পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সুজিত রায় বলেন, "আমাদের জয়েন্ট বিডিও পলাশ পোদ্দারের নাম করে চাকরির কথা বলা হয়েছে ও তাঁদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। এই ধরনের কোনও ফোন যদি সাধারণ মানুষের কাছে যায় তাঁরা যেন বিডিও অফিসে যোগাযোগ করেন। কারণ এই ধরনের কোনও ফোন বিডিও অফিস ও পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতি থেকে করা হচ্ছে না। প্রধান উপাপ্রধানদের বলা হচ্ছে ভি আর পি ও ভিসিডি রিক্রুটমেন্ট হবে । কিন্তু এই ধরনের কোনও রিক্রুটমেন্টের নোটিফিকেশন এখনও পর্যন্ত হয়নি।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সুর চড়িয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। কটাক্ষ করে বিজেপি জেলা পরিষদের সদস্য অলোক দোলই বলেন-"তৃণমূলের একটাই মন্ত্র যেন তেনো প্রকারেণ টাকা ইনকাম করতে হবে। সামনে ভোট রয়েছে। মানুষকে টাকা দিয়ে কিনতে হবে। তাই তাদেরই একটি সংস্থা এই কাজ করে বেড়াচ্ছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের বড় বড় রাঘববোয়ালরা যুক্ত রয়েছে।
জয়েন্ট বিডিওর লিখিত অভিযোগের উপর ভিত্তি করে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ।