
মেদিনীপুরে আবাসের ৬০ হাজার টাকা পেয়েও থমকে বাড়ি তৈরির কাজবাংলা আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ থেকে ছাড়া শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পরেও সংশ্লিষ্ট উপভোক্তারা কেন বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করতে পারছেন না, তা নিয়ে চিন্তিত প্রশাসন। জানা যাচ্ছে বাংলা আবাস যোজনার প্রকল্পের প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পেয়েও বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেননি বহু উপভোক্তা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিদর্শন করতেই অবাক প্রসাশনিক আধিকারিকরা। টাকা পেয়েও কোথাও কোনও বাড়ির নাম গন্ধ নেই। তাহলে কী সরকারি আবাসের টাকায় অন্যকিছু করার প্ল্যান করছেন উপভোক্তারা? এই প্রশ্নই এখন উঠতে শুরু করেছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই ঘটনা পরিদর্শনের পর দ্রুত বাড়ি তৈরির নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

বাংলা আবাস যোজনার প্রকল্পের প্রথম কিস্তির ৬০,০০০ টাকা পেয়েও বাড়ি তৈরির কাজ শুরু না করার এই ঘটনা শ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতি এলাকার। ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির অজবনগর এক নম্বর অঞ্চলের আনন্দপুর এবং মোহনপুর অঞ্চলের ধরমপুর ও রানির বাজার এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে গিয়ে পরিদর্শন করেন ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামলী সর্দার এবং সহ-সভাপতি বিকাশ কর সহ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।
জানা গিয়েছে ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় বাংলা আবাস যোজনা মোট প্রাপকের সংখ্যা ৫ হাজার ৩৬৪ জন। যার মধ্যে প্রথম কিস্তির টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে গেলেও বাড়ির তৈরির কাজ শুরু করেননি ৬৪০ জন উপভোক্তা। উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ঢুকে যাওয়ার পরেও কেন এখনো পর্যন্ত বাড়ি তৈরীর কাজ শুরু হয়নি? এই সমস্ত বিষয় বাড়ি বাড়ি গিয়ে খতিয়ে দেখেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। দ্রুত বাড়ি তৈরীর কাজ শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন আধিকারিকেরা।

পঞ্চায়েত সমিতির তরফে উপভোক্তাদের জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়ার জন্য সরকার প্রস্তুত। কিন্তু তার আগে যে কাজের জন্য প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছে, সেটা ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কেউ যদি বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করতে না চান, সেক্ষেত্রে কিস্তির টাকা ফেরত দিয়ে দিতে হবে।
সংবাদদাতা- শাহজাহান আলি