Sandeshkhali Case: সন্দেশখালি ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গে চলছে রাজনৈতিক যুদ্ধ। বাংলার গোটা রাজনীতি এখন আবর্তিত হচ্ছে নারীদের অভিযোগকে ঘিরে। শান্তি ফিরিয়ে আনতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানিয়েছেন মহিলারা। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ৭ মার্চ সন্দেশখালিতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন মহিলারা। মহিলারা প্রতিবাদে মিছিল করছে এবং রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবিতে স্লোগান তুলে এগিয়ে যাচ্ছে। মহিলারা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের প্রতি তাদের আর আস্থা নেই।
একইসঙ্গে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী বাংলায় গিয়ে সন্দেশখালি ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামে জাতীয় মহিলা কমিশনও। বাংলার সন্দেশখালিতে, টিএমসি নেতা শাহজাহান শেখ এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মহিলাদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে, যার পরে রাজ্যের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে ন্যাশনাল কমিশন ফর উইমেন (এনসিডব্লিউ) চেয়ারপারসন রেখা শর্মা বলছেন, কমিশন সন্দেশখালি থেকে দুটি ধর্ষণের ঘটনার তথ্য পেয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগ ছাড়াও আমাদের দল গ্রামবাসীর কাছ থেকে আরও অনেক অভিযোগ পেয়েছে। এ গ্রামের নারীরা আতঙ্কিত। রেখা শর্মা বলেন, কমিশন রাষ্ট্রপতির সামনে রিপোর্ট পেশ করবে। আমরা রাষ্ট্রপতির শাসন দাবি করব।
মঙ্গলবার সন্দেশখালি যাবেন শুভেন্দু অধিকারী
এদিকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার চার থেকে পাঁচজন বিধায়ককে নিয়ে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। এদিকে শুভেন্দু জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শীঘ্রই সন্দেশখালিতে যাবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএম) এর তারিখ নির্ধারণ করবে।
বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুভেন্দুকে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। জানিয়ে রাখি সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি হাইকোর্টও শুভেন্দুকে সেখানে কোনও উসকানিমূলক বক্তব্য না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
সন্দেশখালি মামলাটি কি?
এখানকার মহিলারা গত কয়েকদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) নেতা শাহজাহান শেখ এবং তার সহযোগীদের নৃশংসতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছেন। সন্দেশখালির নির্যাতিতা নারীরা নিজেদের অগ্নিপরীক্ষার কথা জানিয়েছেন। নারীরা শাহজাহান শেখ ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা, যৌন হয়রানি ও জমি দখলের মতো গুরুতর অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগকারী এক মহিলা জানান, তৃণমূলের লোকেরা গ্রামে দ্বারে দ্বারে গিয়ে খোঁজখবর নেয় এবং এই সময়ে বাড়িতে কোনও সুন্দরী মহিলা বা মেয়ে দেখা গেলে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের লোকজন তাকে অপহরণ করে নিয়ে যেত। এবং তারপর তাকে সম্পূর্ণভাবে হত্যা করে।সে তাকে রাতে অন্য জায়গায় পার্টি অফিসে রাখত এবং পরের দিন তাকে যৌন নিপীড়ন করার পর তাকে তার বাড়ির বা বাড়ির সামনে ফেলে দিত। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে রাজ্যপাল তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি দেখেন এবং নিজেই সন্দেশখালি পৌঁছন এবং পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সন্দেশখালিতে যা ঘটেছে তা মর্মান্তিক।