Santiniketan Poush Mela 2024: অবশেষে আসছে সেই দিন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর শান্তিনিকেতনে ফিরছে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। শীতের কামড়, বাউল গান, একতারা, মেঠো সুর-- সব মিলিয়ে সেই চেনা অনুভূতি। শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে মেলার আয়োজন করছে।
কীভাবে শুরু হয়েছিল পৌষমেলা? (Poush Mela History)
২০১৯ সালে শেষবার পৌষমেলা হয়েছিল। তারপর করোনা-কাল ও পরবর্তী সময়ে নানা টানাপোড়েনে পুরনো রীতি মেনে মেলা হয়নি শান্তিনিকেতনে। ১৮৯১ সালের ২১ ডিসেম্বর (১২৯৮ বঙ্গাব্দের ৭ পৌষ) শান্তিনিকেতনে একটি ব্রাহ্মমন্দির স্থাপিত হয়। ১৮৯৪ সালে ব্রাহ্মমন্দিরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী স্মরণে মন্দিরের উল্টোদিকের মাঠে একটি ছোটো মেলা আয়োজন করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে শান্তিনিকেতনের সেই পৌষমেলা শুধুমাত্র বীরভূম জেলার নয়, অন্যান্য অঞ্চলের পর্যটকেদেরও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে।
অতীতে দুবার বন্ধ হয়েছিল মেলা
১৮৯৪ সাল থেকে ধারাবাহিক ভাবে আয়োজিত হয়েছে পৌষমেলা (Bolpur Poush Mela)। ১৯৪৩ সালে দেবেন্দ্রনাথের দীক্ষাগ্রহণের শতবর্ষে মন্বন্তরের কারণে এবং ১৯৪৬-এ সাম্প্রদায়িক অশান্তির কারণে মেলা আয়োজন সম্ভব হয়নি। প্রথম দিকে ব্রাহ্মমন্দিরের (যা কাচমন্দির নামেও পরিচিত) উত্তর দিকের মাঠে মেলা আয়োজিত হত। সেই দিন সান্ধ্য উপাসনার পর বাজি পোড়ানো হত। পরে মেলার আয়তন বৃদ্ধি পেলে শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির মাঠে মেলার আয়োজন শুরু হয়।
অনলাইনে কীভাবে স্টল বুকিং করা হচ্ছে? (How to book stall at Santiniketan Poush Mela)
এবারও মেলা হচ্ছে পূর্বপল্লির মাঠেই। পৌষমেলায় প্রায় দেড় হাজার স্টল থাকে। এবারে মেলা শুরু হচ্ছে ২৩ ডিসেম্বর, চলবে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা ৩ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে পৌষমেলার স্টল বুক করতে পারছেন। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের ডিড অনুযায়ী ৭ই পৌষ মেলার আয়োজন হবে পূর্বপল্লীর মাঠেই।