ফের ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতনের পৌষমেলার আয়োজন করতে চলছে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। পূর্বপল্লির মাঠেই হবে এই মেলা। বুধবার বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৈঠকে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সভাপতি অনিল কোনার, বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয় কুমার সরেন-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অধ্যাপক ও রেজিস্ট্রার উপস্থিত ছিলেন। এবার মেলার জন্য রাজ্য সরকার ও পৌরসভার সহযোগিতা চাওয়া হবে ৷ ২০১৯ সালের পর এবার বিশ্বভারতী এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্টই পূর্বপল্লীর মাঠে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার আয়োজন করবে।
এবার এই মেলা শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট নিজেদের উদ্যোগেই আয়োজন করবে বলে জানানো হয়েছে। মেলা আয়োজনে সহযোগিতা করবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তবে, মেলা আয়োজনে প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হবে। তার জন্য আবেদন জানানো হবে। কারণ মেলা আয়োজনে প্রশাসনকে সঙ্গে নেওয়া জরুরি বলে মনে করছে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট।
এই বিষয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক অতীগ ঘোষ বলে, 'পূর্বপল্লির মাঠে এবার মেলা আয়াজন করবে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। বিশ্বভারতী মেলা আয়োজন করে না। তবে তারা সহযোগিতা করে, এবারও তাই করা হবে।'
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর পৌষমেলার সূচনা করেছিলেন শান্তিনিকেতনে। প্রতি বছর রীতি মেনে ৭ পৌষ আয়োজিত হয় এই পৌষমেলা। সেই দিন থেকে ৩ দিন ব্যাপী এই উৎসব পালিত হয়। ৭ পৌষ সকালে বিশেষ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই মেলার সূচনা হয়। ২০১৯ সালে শেষ বার পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা হয়েছিল। ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতির জন্য মেলা বন্ধ থাকে। সেই থেকেই ২০২১ ও ২০২২ সালে পূর্ব পল্লির মাঠে পৌষমেলা না করার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এই সিদ্ধান্তে নিন্দার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। ২০২১ ও ২০২২ সালে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ এবং বোলপুর পুরসভার উদ্যোগে ডাকবাংলো মাঠে বিকল্প মেলার আয়োজন করা হয়। ২০১৯ সালে শেষবার বিশ্বভারতী এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্টই পূর্বপল্লীর মাঠে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার আয়োজন করেছিল। গত বছর রাজ্য সরকার এবং বীরভূম জেলা পরিষদ এই মেলা আয়োজন করেছিল। মেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাঁচদিনের মেলা পূর্বপল্লি মাঠেই হয়েছিল।