অভয়া কাণ্ডে আবার আন্দোলনে নামা জুনিয়র ডাক্তারদের নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'সার্জারি করতে করতে জানে না, কাঁচি ধরে নিয়েছে। বলছে গ্লাভসের মধ্যে রক্ত আছে। একজন ডাক্তার কোনটা রক্ত আর কোনটা কেমিক্যাল, তাই জানে না। এদের জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন আছে।'
শ্রীরামপুরের সাংসদ হলেও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদি বাড়ি কিন্তু হুগলিতে নয়। তাঁর আদি বাড়ি বাঁকুড়ার দোলতলায়। আর এবার আদি বাড়ির কালীপুজোয় সেখানেই এসেছেন তৃণমূল সাংসদ। বৃহস্পতিবার রাতের পর শুক্রবার সকাল থেকে বাঁকুড়ার দোলতলায় নিজের বাড়ির মন্দিরে কালী পুজো করেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। কালীপুজোর সময় প্রতিবছরই বাঁকুড়ার দোলতলার বাড়িতে ফেরেন কল্যাণ।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেন। কল্যাণ বলেন, 'মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছি যেন কমিউনাল ও নন সেকুল্যার ফোর্সের বিরুদ্ধে লড়ত পারি। লড়াই আগামীতেও চলবে। তাদের ভারতবর্ষকে দখল করতে দেব না। রক্ত যখন শরীর থেকে বয়েছে, দরকারে আরও রক্ত বইবে। যারা হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে, যারা নাথুরাম গডসেকে দিয়ে গান্ধীজিকে হত্যা করিয়েছিল, যাদের সরকার চলছে, তাদের থেকে সাম্প্রদায়িকতার কথা শুনতে হবে না।'
অভয়া কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত নিয়ে তিনি বলেন, 'অমিত শাহের তো এখানে কিছু করার নেই। সিবিআই তদন্ত করে সেই একটা লোককেই খুঁজে পেয়েছে। ডাক্তাররা কাউকে মনে করলেই অভিযুক্ত করতে পারেন না। সেটা হতে পারে না। আইন বলে তো একটা জিনিস আছে। আবেগ দিয়ে সব চলে না। আইন অনুযায়ী চলে। কোনও সাক্ষী দিতে পারেনি, কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি, অথচ চিৎকার করছে। মায়ের কাছে প্রার্থনা করছি এই ডাক্তারদের শুভবুদ্ধি দিক। ওরা কাজে জয়েন করেছে, বাংলার মানুষের সেবা করুক। থ্রেট কালচার নিয়ে গল্প কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। যারা সিপিএমের পাল্লাই পড়েছে, তাদের সব শেষ। ডাক্তাররা ভাল। সিপিএমের হাতে পড়ে সব শেষ করে সরিয়ে দিয়েছে।'
এছাড়াও জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন কল্যাণ। বলেন,'কে একজন বলল, কাঁচিতে নাকি মরচে পড়ে গিয়েছে, গোদা বাংলায় একটা কথা আছে, নাচে না উঠোনের দোষ হয়। সার্জারি করতে করতে জানে না, কাঁচি ধরে নিয়েছে। বলছে গ্লাভসের মধ্যে রক্ত আছে। একজন ডাক্তার কোনটা রক্ত আর কোনটা কেমিক্যাল, তাই জানে না। এদের জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন আছে। দিল্লিতে বা অন্য কোনও রাজ্যে এদের আরেকবার পরীক্ষা নেওয়া উচিত। তারপরেই ইনটার্নশিপ করতে দেওয়া হোক।'
সংবাদদাতা: নির্ভীক চৌধুরী