ED Team Attacked In Sandeshkhali: সন্দেশখালি কাণ্ড: শুভেন্দুর মুখে রোহিঙ্গা-তত্ত্ব, 'তাল পাকানোর চেষ্টা,' পাল্টা অধীর

সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনায় কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি। আজকের ঘটনার ছবি এবং ভিডিও এক্স হ্যান্ডলে পোস্টও করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

Advertisement
সন্দেশখালি কাণ্ড: শুভেন্দুর মুখে রোহিঙ্গা-তত্ত্ব, 'তাল পাকানোর চেষ্টা,' পাল্টা অধীরসন্দেশখালি কাণ্ড
হাইলাইটস
  • ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী
  • অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার

সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনায় কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি। আজকের ঘটনার ছবি এবং ভিডিও এক্স হ্যান্ডলে পোস্টও করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শুভেন্দু লিখেছেন, 'ভয়ঙ্কর। পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিপর্যস্ত। সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিক ও সিআরপিএফ জওয়ানদের উপর নৃশংস হামলা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার টিএমসি নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালানোর সময়। আমি সন্দেহ করছি যে দেশ বিরোধী হামলাকারীদের মধ্যে রোহিঙ্গারা রয়েছে। আমি মাননীয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বাংলার রাজ্যপাল, ইডি ও সিআরপিএফ কে অনুরোধ করছি এই গুরুতর পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই নৈরাজ্য দমনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার। বিষয়টি এনআইএ-কে দিয়ে তদন্ত করাও উচিত।'

অন্যদিকে, আলাদা করে এই ঘটনা জানিয়ে অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। চিঠিতে সুকান্ত লিখেছেন, 'আমি একটি দুঃখজনক ঘটনা আপনার নজরে আনতে লিখছি। আজ পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) টিম একটি অভিযান পরিচালনা করে, সেখানে তারা ১০০-২০০ গ্রামবাসীর একটি দল দ্বারা হিংসাত্মক আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছিল। এটা তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের গ্রাম। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, ইডি টিম রেশন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তদন্ত করার জন্য ওই গ্রামে গিয়েছিল। তখন তারা গ্রামবাসীদের কাছ থেকে আক্রমণাত্মক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছে। দলকে তাদের কাজে বাধা দেওয়া হয়েছিল, তাদের গাড়ির ক্ষতি করা হয়। তাতে অভিযান চালানো যায়নি। এই আক্রমণের তীব্রতা এবং প্রকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে, আমি আপনার অবিলম্বে হস্তক্ষেপের জন্য আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি। এই ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। আইন প্রয়োগকারী কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, তাদের দায়িত্ব পালন করা এবং আমাদের আইনের শাসন বজায় রাখার জন্য এই ধরনের একটি তদন্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।'

এরপর সুকান্ত লেখেন, 'কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি শ্রী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আদালতে বলেছেন যে এটি একটি সাংবিধানিক সংকট এবং গভর্নরকে হস্তক্ষেপ করতে হবে এবং রাষ্ট্রপতির শাসন বাস্তবায়ন করতে হবে। উপরন্তু, আমি আপনার সম্মানিত অফিসের কাছে অনুরোধ করছি সন্দেশখালিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করার জন্য শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং জড়িত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। হিংসার আরও বৃদ্ধি রোধ করতে এবং তদন্ত প্রক্রিয়ার অখণ্ডতা রক্ষা করতে আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।'

Advertisement

এদিকে, এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে হিন্দু-মুসলমান টেনে আনার অভিযোগ তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, 'রোহিঙ্গা জড়িত নাকি কোথাকার কে জড়িত আছে সেটা আমি বলতে পারব না। বিজেপি এখন এই ঘটনাকে নিয়ে তাল পাকানোর চেষ্টা করছে, হিন্দু-মুসলমান করার চেষ্টা করছে। একটাই কাজ ওদের। সে যেই হোক না কেন, সে ভারতের আইন ভাঙছে। সেটাতে কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে খ্রিস্টান, কে শিখ, কে রোহিঙ্গা, এটা বাছার মধ্যে দিয়ে রাজনীতির সমীকরণ বদলানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।' যদিও অধীরের অভিযোগ, প্রশাসন সক্রিয় না হওয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। তাঁর কথায়, 'পশ্চিমবঙ্গে প্রশাসন সক্রিয় নয়। সক্রিয় হলে সুনামি এসে যাবে। প্রশাসন সক্রিয় হবে না। সংবাদমাধ্যমের ওপরে হামলা বরাবর হচ্ছে বাংলায়। আজ তো প্রথমবার হয়নি। সংবাদমাধ্যম বরাবর তৃণমূলের সন্ত্রাসের শিকার। এই বাংলায় কেউ শান্তিতে নেই। তৃণমূলের মধ্যেও কেউ শান্তিতে নেই। তৃণমূলের দৈত্যদের মধ্যে দঙ্গল লেগে গিয়েছে। সারা বাংলাজুড়ে অশান্তি চলছে।' 

POST A COMMENT
Advertisement