অবশেষে ধরা পড়ল বাঘিনী জিনত। এক সপ্তাহ ধরে চেষ্টার পর বাগে এল সে। ওড়িশা থেকে এসেছিল জিনত। রবিবার দুপুরে বাঁকুড়ার জঙ্গলে তাকে ধরল বন দফতর।
শনিবার সকালে পুরুলিয়ার জঙ্গল থেকে বাঁকুড়ার রানিবাঁধের গোঁসাইডিহি গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছিল ওই বাঘিনী। ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে বাঘিনীকে ধরার পরিকল্পনা করে বন দফতর। ছোড়া হয় গুলি। কাজ হয়নি। জঙ্গলেই ঘাপটি মেরেছিল জিনত। গোটা জঙ্গল ঘিরে ফেলে জায়গায় জায়গায় আগুন লাগিয়ে তাকে খাঁচাবন্দি করার পরিকল্পনাই শেষপর্যন্ত কাজে দিল। তাতেই এল কাঙ্ক্ষিত ফল। অবশেষে বনকর্মীদের জালে ধরা পড়ে বাঘিনী।
রবিবার ভোরে গোঁসাইডিহি গ্রামে শোনা যায় বাঘিনীর গর্জন। দেখা যায় পায়ের ছাপও। বাঘিনীর গলায় থাকা রেডিয়ো কলার সিগন্যাল ট্র্যাক করে পৌঁছে যান বনকর্মীরাও। জানা যায়, গ্রামের অদূরেই মুকুটমণিপুর জলাধার লাগোয়া ছোট জঙ্গলে রয়েছে সে। নাইলন দড়ি দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় গোটা জঙ্গল। গ্রামের রাস্তাও জাল দিয়ে ঘেরা হয়। পাতা হয় একাধিক খাঁচা। টোপ হিসাবে রাখা হয়েছিল দু'টি মহিষকেও। দুপুরে বন দফতরের পাতা ফাঁদে ধরা পড়ল জিনত।
মহারাষ্ট্রের তাডোবা-আন্ধারি ব্যাঘ্র প্রকল্পে ছিল তিন বছরের জিনত। গত ১৫ নভেম্বর ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পে আনা হয়েছিল তাকে। কয়েকদিন সে পর্যবেক্ষণে ছিল। ২৪ নভেম্বর তাকে রেডিয়ো কলার পরিয়ে সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ছাড়া হয়। সেখান থেকে ঝাড়খণ্ডের দিকে চলে যায় সে। ঝাড়খণ্ডে ঘুরে চাকুলিয়া রেঞ্জের রাজাবাসার জঙ্গল পেরিয়ে চিয়াবান্ধি থেকে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির কাটুচুয়া জঙ্গলে ঢুকে পড়ে জিনত। ঝাড়গ্রাম থেকে বাঘিনী পৌঁছয় পুরুলিয়ার জঙ্গলে। শনিবার সকালে আবারও বদলে যায় তার অবস্থান। সে পৌঁছয় গোঁসাইডিহি গ্রামে।