Zeenat: পুরুলিয়া থেকে বাঁকুড়ায় বাঘিনী জিনাত, ঠিক কোন জায়গায় আছে সে?

শুক্রবার সকাল থেকেই পুরুলিয়ার মানবাজার ২ নম্বর ব্লকের ডাঁগরডি বিটের পাঁইসাগোড়া জঙ্গলে জাল পাতা হয় জিনাতকে ধরতে। তবে, রাতের দিকে বন দফতরের সমস্ত প্রচেষ্টাকেই ব্যর্থ করে জিনাত জাল টপকে পালিয়ে যায়। তারপর কুমারী নদী পার হয়ে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরে উদ্দেশে রওনা দেয়।

Advertisement
পুরুলিয়া থেকে বাঁকুড়ায় বাঘিনী জিনাত, ঠিক কোন জায়গায় আছে সে?পুরুলিয়া ছাড়িয়ে বাঁকুড়ায় বাঘিনী জিনাত, কোন জায়গায় রয়েছে?
হাইলাইটস
  • এবার পুরুলিয়া ছেড়ে বাঁকুড়ায় ঢুকে পড়েছে জিনাত
  • আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে

একের পর এক জেলা চষে বেড়াচ্ছে বাঘিনী জিনাত। এবার পুরুলিয়া ছেড়ে বাঁকুড়ায় ঢুকে পড়েছে সে। তাকে ধরতে বাঁকুড়ায় পৌঁছেছে বন দফতরের কর্মী ও আধিকারিকরাও। জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে কুমারী নদী পার করে কাঁসাইয়ের পার ধরে পুরুলিয়ার মানবাজার-১ ব্লকের ধানাড়া পেরিয়ে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর জলাধারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে জিনাত।

শুক্রবার সকাল থেকেই পুরুলিয়ার মানবাজার ২ নম্বর ব্লকের ডাঁগরডি বিটের পাঁইসাগোড়া জঙ্গলে জাল পাতা হয় জিনাতকে ধরতে। তবে, রাতের দিকে বন দফতরের সমস্ত প্রচেষ্টাকেই ব্যর্থ করে জিনাত জাল টপকে পালিয়ে যায়। তারপর কুমারী নদী পার হয়ে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরে উদ্দেশে রওনা দেয়। আজ সকালে জঙ্গলে ঢুকে পড়েছে সে। জিনাতের গলায় রেডিয়ো কলার রয়েছে, তাই তার গতিবিধি ট্র্যাক হচ্ছে। জিনাত যেদিকে যাচ্ছে তাকে ধাওয়া করছে বন দফতরের কর্মীরা। যদিও বন দফতরের তরফে এখনও জিনাতের অবস্থান পরিষ্কার করে একথা জানানো হয়নি। আর সেই কারণে আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। 

অক্টোবর-নভেম্বরে মহারাষ্ট্রের তাডোবা-আন্ধারী টাইগার রিজার্ভ থেকে জিনাত এবং যমুনা নামের দুটি বাঘকে সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভে আনা হয়েছিল। জিনাতকে ২৪ নভেম্বর সিমলিপাল নর্থের কোরে ছেড়ে দেওয়ার আগে ১০ দিনের জন্য একটি ঘেরে রাখা হয়েছিল। ৯ ডিসেম্বর রাতে জিনাত পালিয়ে গিয়ে ৩৫কিলোমিটার দূরে ঝাড়খণ্ডে পৌঁছে যায়। কিছু সময় তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

পরে ঝাড়গ্রামে তার খোঁজ মেলে। কাঁকড়াঝোড় ও ময়ূরঝর্ণার জঙ্গলে ছিল সে। বাঁশপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জিনাতের গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। পরে ময়ূরঝর্ণার জঙ্গল পেরিয়ে পুরুলিয়া জেলার রাইকার জঙ্গলে ঢুকে পড়ে সে। জিনাতকে ধাওয়া করতে করতে পুরুলিয়ায় চলে আসেন ওড়িশার বনকর্মীরা। তাঁদের সাহায্য করছে রাজ্য বন দফতর। ঝাড়গ্রাম থেকে বান্দোয়ানে আসে সুন্দরবনের টিম। কীভাবে খাঁচা পাতা হবে, কীভাবে টোপ দেওয়া হবে, কীভাবে বাঘটিকে ঘুম পাড়ানো হবে, সেসব কাজ করবে তারা। এর পর বাংলার ঝাড়গ্রাম হয়ে পুরুলিয়ার জঙ্গলে ঢুকেছে সে।
 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement