স্কুলের মাঠে সাপ ছোবল মেরেছিল পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ইন্দ্রজিত্ মাঝিকে। প্রধান শিক্ষককে দেখাতে গিয়েছিল। প্রধান শিক্ষক বলেন, ডেটল লাগিয়ে দিতে। বিষধর সাপের ছোবলের ক্ষতে স্রেফ ডেটল লাগিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় ছাত্রটিকে। বিকেল ৪টেয় টিউশানি পড়তে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায় ইন্দ্রজিত্। বাড়িতে পৌঁছে দেন গৃহশিক্ষক। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, বাড়িতে ফেরার পর থেকেই আর কথা বলতে পারছিল না ইন্দ্রজিৎ। বাড়ির লোকজন মাথায় জল ঢালেন। চোখে মুখে জল দিয়েও হুঁশ ফেরেনি। তাকে নিয়ে যাওয়া হয়, হাসপাতালে। ততক্ষণে সব শেষ। পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার কোশিগ্রাম ইউনিয়ন ইনস্টিটিউটের ঘটনা। গ্রামবাসীরা ভাঙচুর করে হাইস্কুল চত্বর। কাটোয়া-বোলপুর রাস্তা অবরোধ করা হয় এবং প্রধান শিক্ষকের ঘেরাও করে রাখা হয়। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে প্রধানশিক্ষক পূর্ণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর বক্তব্য, 'ওই ছাত্রকে যে স্কুলে সাপে কামড়েছিল তা আমরা জানতামই না। আমাকে কেউ বলেনি। স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের জিজ্ঞাসা করে দেখেছি ওদিন ওরকম ঘটনার কথা কেউ জানতেন না। যদি জানতাম নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নিতাম।'