আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধে প্রভাব পড়ল দুই বঙ্গেই। বন্ধ বেসরকারি বাস চলাচল, খোলেনি দোকানপাটও। যার জেরে আংশিক স্তব্ধ জনজীবন। মোট ৬ দফা দাবিতে ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দেয় আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান। এদিকে ১২ন ঘন্টার ডাকা বনধের বিরোধিতা করে সবকিছু সচল রাখার ডাক দিয়েছিল আরও একটি আদিবাসী সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল। এই দুই আদিবাসী সংগঠনের টানাপোড়েনে মাঝে বিভ্রান্ত সাধারণ মানুষ।
কুড়মিদের এসটি সম্প্রদায়ভুক্ত এবং পুলিশ নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে সোমবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ডাকে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান। পাল্টা মানুষের মধ্যে বিভেদ করছে বলে বনধ প্রত্যাহারের ডাক দেয় ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল। বনধের জেরে সকাল থেকেই রাস্তায় নামেনি বেসরকারি বাস। যদিও সরকারি বাস চলছে। চলছে ছোটো গাড়িও। ফলে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে বেশ কিছুটা হয়রানির শিকার সাধারণ মানুষ।
এদিকে আবার ঝাড়গ্রামের টোটো মালিকরা আজ ১২ ঘন্টার টোটো বনধের ডাক দিয়েছেন। পৌরসভারর বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে এবং অভিযোগ না নেওয়ার প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছেন টোটো চালকরা। ফলে দ্বিমুখী সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
এদিকে বনধের প্রভাব পড়েছে উত্তরবঙ্গের মালদা জেলাতেও। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ পুরাতন মালদার ৮ মাইল স্ট্যান্ডে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন মালদা জেলা আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের কর্মী সমর্থকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। অবরোধের জেরে যানজটের সৃষ্টি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। পাশাপাশি গাজল এবং হবিবপুরেও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। গাজলের বিশ মাইল এলাকায় মালদা- বালুরঘাট রাস্তায় অবরোধ করা হয়। হবিবপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় মালদা-নালাগোলা রাজ্য সড়কেও অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের সদস্যরা। অবরোধ ও তীব্র গরমের জের ব্যাপক নাজেহাল হতে হয় সাধারণ মানুষকে। প্রসঙ্গত, গত মাসে কুড়মি সমাজের রেল অবরোধের জেরেও নাজেহাল হতে হয় মানুষকে। বেশ কিছুটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে দক্ষিণ পূর্ব শাখার রেল চলাচল।
আরও পড়ুন - সিগনাল বিভ্রাট, শিয়ালদা মেইন লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত, চরম দুর্ভোগ