বিশ্বভারতীর সঙ্গে জমি নিয়ে বিতর্কের মাঝেই আমেরিকা গেলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)। তবে আমেরিকা যাওয়ার আগে ফের তাঁর দাবি উত্তরাধিকার সূত্রে শান্তিনিকেতনের ওই জমির মালিক তিনিই। এ নিয়ে নতুন করে মীমাংসার কোনও প্রয়োজন নেই বলেও মনে করেন তিনি।
জমি প্রসঙ্গে অমর্ত্য সেন বলেন, "কেন অমীমাংসিত থাকবে? জমি আমার বাবার নামে ছিল। এখন জমি আমার নামে হওয়া উচিত। এটায় না করার কোনও কারণ ছিল না। আমার বাবার উইলে লেখা যে, ওঁর জীবন যখন শেষ হবে, সেটা আমার মায়ের কাছে যাবে। সেখান থেকে আমার কাছে আসবে। এতে তর্কাতর্কির কিছু নেই"।
যদিও শান্তিনিকেতনের বাড়ি থেকে 'প্রতীচী' থেকে বের হওয়ার সময় অমর্ত্য সেন বলেন, জমি নিয়ে কোনও প্রশ্নের উত্তর তিনি দেবেন না। তাঁর কথায়, "কোনও প্রশ্ন থাকলে উপাচার্য কে করুন"। এমনকী গোটা বিষয়ে তিনি ব্যথিত কিনা সেই প্রসঙ্গে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বলেন, "মনে ব্যথার অবকাশ কই? তাঁরা যে হেনস্থা করছেন, সেটা বোঝার বিষয়েও জ্ঞানহীন"।
প্রসঙ্গত, শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচীর কিছুটা জমি নিয়ে বিশ্বভারতীর সঙ্গে বিবাদ সম্প্রতি উঠে আসে সংবাদ শিরোনামে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রয়েছেন। প্রয়োজনে রাজ্য ভূমি সংস্কারের নিয়ম মেনে বিশ্বভারতীর প্রতিনিধি, অমর্ত্য সেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে জমির মাপ নেওয়া হোক। তা হলেই আসল সত্য বেরিয়ে আসবে। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে অভিযোগপত্রও পাঠানো হয়। এদিকে তারই মাঝে আসরে নামেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন মমতা এবং তাঁর পাশেও দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী। উপাচার্যের নাম করে তাঁকেও একহাত নেন মমতা। যদিও তাতেও বিতর্কের অবসান হয়নি। বরং পালটা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে কড়া বিবৃতি জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামিকাল বিশ্বভারতীর সমাবর্তন। সেক্ষেত্রে এখন দেখার এই বিবাদের অবসান কবে হয়।
আরও পড়ুন - ছাত্র সংসদ নির্বাচন কবে? বড় ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর