আজ দুবরাজপুর আদালতে পেশ অনুব্রত মণণ্ডলকে (Anubrata Mandal)। ২০১৪ সালের একটি মামলায় আদালতে পেশ করা হবে তাঁকে। তারজন্য সকাল থেকেই আসানসোল জেলে উপস্থিত হন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পদস্থ আধিকারিকরা। সঙ্গে যে কোনওরকম অশান্তি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে কমব্যাট ফোর্স। ইতিমধ্যেই জেল থেকে বের করে দুবরাজপুরের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এই তৃণমূল নেতাকে।
জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে দুবারজপুরে সিপিআইএম ও তৃণমূলের মধ্যে এক সংঘর্ষে প্রচুর বোমাবাজি হয়। ঘটনায় মৃত্যু হয় এক পুলিশ কর্মীর। সেই সময় একটি মন্তব্য করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেছিলেন, 'পুলিশকে দেখলে বোমা মারুন।' ঘটনায় বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পরে অবশ্য সকলেই বেকসুর খালাস পান। পরবর্তী সময় নতুন করে শুরু হয় সেই মামলা। তাতে ট্যাগ করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকেও। সেই মামলাতেই আজ দুবরাজপুর আদালতে পেশ করা হবে বীরভূমের এই দোর্দণ্ড প্রতাপ তৃণমূল নেতা। সূত্রের খবর এদিন অনুব্রতকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে পারে পুলিশ।
এদিকে গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার আবেদন জানিয়েছিল ইডি। সেই মামলায় গতকালই ইডিকে ছাড়পত্র দেয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। সূত্রের খবর সেখানে সায়গল হোসেনের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে অনুব্রত মণ্ডলকে। কারণ গরু পাচারের বিপুল টাকা কোথায় রয়েছে, কীভাবে লটারির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হত, এই ধরনের নানা প্রশ্নের উত্তর জানতে অনুব্রত ও সায়গলকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলেই মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। কিন্তু এদিন যদি দুবরাজপুর আদালত অনুব্রত মণ্ডলকে পুলিশ হেফাজতে পাঠায়, তাহলে তাঁর দিল্লি যাত্রা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হতে পারে। কারণ পুলিশ হেফাজত থেকে ফের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে কিনা, থাকলেও তা কতোটা সময় সাপেক্ষ, সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে হবে ইডিকে। তারপরেই দিল্লি নিয়ে যাওয়া যাবে অনুব্রত মণ্ডলকে। তবে ইডি দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই হঠাৎ করে অনুব্রতকে কেন দুবরাজপুর আদালতে পেশ করানো হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কারও কারও মনে।
আরও পড়ুন - চলতি সপ্তাহে ফের ঘূর্ণাবর্তের ভ্রূকুটি, বড়দিনে ঠান্ডা থাকবে?