'বাদাম বাদাম দাদা বাদাম বাদাম', এই গান তাঁকে পরিচিতি দিয়েছিল। এই গানের দৌলতেই সোশ্য়াল মিডিয়ায় স্টার হয়ে উঠেছিলেন ভুবন বাদ্যকর। আর সেই গানই এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভুবনের। গানটি করতেই পারছেন না তিনি। অভিযোগ, এই গান সোশ্যাল মি্ডিয়া বা অন্য কোথাও পোস্ট করলেই কপি রাইটে আটকে দেওয়া হচ্ছে। ফলে রোজগারপাতি বন্ধ বাদামকাকুর। কদিন পর থেকে উনুনে হাঁড়ি চড়বে না হয়তো। শঙ্কিত তিনি।
এই তো বেশ কয়েক মাস আগের কথা। সোশ্যাল মিডিয়ায় রমরমিয়ে চলছিল 'বাদাম' গান। হঠাৎ সেই গান উধাও হয়ে যায় ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম থেকে। কেন ? আর তাই নিয়েই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ভুবন বাদ্যকরের। বাংলা.আজতক.ইন-কে জানান, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। গোপাল নামে কোনও এক ব্যক্তি তাঁকে ৩ লাখ টাকা দিয়ে বলেছিলেন যে তাঁদের চ্যানেলে গানটি চালাবেন। সেই মতো টাকাও নেন তিনি।
আরও পড়ুন : FD-তে ৯.৫০% সুদ এই ব্যাঙ্কে, SBI-এর থেকেও বেশি ইন্টারেস্ট দিচ্ছে আরও কারা?
ভুবন বাদ্যকরের অভিযোগ, এখন সেই গান অন্য কোথাও পোস্ট করলেই কপি রাইট দেওয়া হচ্ছে। ফলে গান করতে পারছেন তিনি। তাঁর দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁকে জানাননি যে, কপি রাইট কিনে নিচ্ছেন। তবে কিছু কাগজপত্রে সই করিয়ে নিয়েছিলেন। ভুবনের কথায়, 'আমি অশিক্ষিত মানুষ। আমার অত লেখাপড়া জানি না। আর সেই সুযোগেই আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।'
এই গানের জন্যই লাইমলাইটে এসেছিলেন। কয়েক লাখ টাকা রোজগারও করেছিলেন ভুবন। সেই টাকায় পাকা বাড়ি বানানোর কাজ শুরু করেছিলেন। তবে অর্থাভাবে সেই বাড়ির কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। মাথা গোঁজার ঠাঁই তো দূরের কথা। কদিন পর থেকে পেট চলবে কীভাবে তা নিয়েও চিন্তিত ভুবন। বললেন, 'এখন রোজগার বন্ধ। সেই গান তো করতেই পারি না। ছেলে সামান্য একটা কাজ করে। মাসে কয়েক হাজার টাকা পাই। তাতেই সংসার চলে। জানি না এভাবে কদিন আর চলবে।' একথা বলেই হাউহাউ করে কেঁদে ফেললেন।
যদিও গোপাল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। এখন সুদিনের অপেক্ষায় তিনি। যদিও দুবরাজপুর থানার ওসি জানালেন, ভুবন বাদ্যকরকে এগ্রিমেন্টের কাগজপত্র নিয়ে থানায় ডাকা হয়েছে একাধিকবার। তিনি আসেননি। এসে আমাদের নথি জমা করলেই তদন্ত শুরু করব। নিশ্চয় উনি সুবিচার পাবেন।