বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে প্রবীণ নেতা তথাগত রায়- এঁরা সবাই মুকুল রায়ের বিজেপি ত্যাগের সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু, পুরোনো সতীর্থকে নিয়ে একটি কথাও বলতে শোনা যায়নি বর্তমান বিররোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। অবশেষে নিরবতা ভাঙলেন তিনি। সূত্রের খবর, অনেক বিজেপি বিধায়কই মুকুলের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। তাঁরা ফিরতে চান শাসকদলে। এই নিয়ে শুভেন্দুকে প্রশ্ন করা হলে মুকুলকে নিয়ে মুখ খোলেন শুভেন্দু।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেই পারেন বিধায়করা। এটা মুকুল রায় ভালো বলতে পারবেন। মুকুল রায় যখন বিজেপি-তে এসেছিলেন, তখন তিনি বলেছিলেন লাখ লাখ লোক আনবেন।'
আরও পড়ুন : যে কোনও মুহূর্তে বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মুকুল-ঘনিষ্ঠ BJP-র এই ১০ নেতা
প্রসঙ্গত, আজ ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে যান শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি নেতৃত্ব। ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, 'আমরা ভেবেছিলাম এত আসন নিয়ে ক্ষমতা আসার ফলে তৃণমূল রাজ্যে সন্ত্রাস কমাবে। তবে চন্দননগর ও তিলজলায় যে ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে নিন্দার কোনও ভাষা নেই। প্রতিবাদ করতে গিয়ে কিছু যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।'
ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর রাজ্যে রাজনৈতিক সন্ত্রাস চরম আকার নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেনন শুভেন্দু। সেই ব্যপারে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বলে দাবি করেন। বলেন, 'হবিবপুরে এসটি সম্প্রদায়ের দুইজন মহিলা ধর্ষিতা হয়েছেন। মানিকচকে বালিকাকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে। ফরাক্কাতে অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে ধর্ষণ হয়েছে। মহিলাদের সুরক্ষা নেই রাজ্যে। লকেট চট্টোপাধ্যায় ও বিজেপির বিধায়কদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই সব অভিযোগ জানিয়েছি। সবথেকে বেশি আক্রান্ত এসসি ও এসটি-রা। তারা ভয়ের মধ্যে বেঁচে আছেন।'
শুভেন্দু অধিকারী আরও জানান, ভোট পরবর্তী হিংসা ও বিজেপি কর্মীদের নামে যে সব মিথ্যে মামলা হয়েছে, সেগুলি নিয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন ও সিবিআই-তদন্তের আবেদন করবেন।