রেফার নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার এক বৈঠকে এই নিয়ে রীতিমতো আধিকারিকদের কড়া হওয়ার নির্দেশও দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এক জায়গায় দেখা গেছে একটা ডাক্তার একদিনে ২০টা অপারেশন করেছেন, নাকি ৫০০টা, কটা? ফিজিক্যালি ইজ ইট পসিবল? আমি এগুলোতে ব্যবস্থা নেব না কেন? এগুলো তো আমার টাকা নয়, জনগণের টাকা। জনগণের টাকায় জনগণকে মূল্য দিতে হবে।"
এরপরেই রেফার নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতার বাইরের চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, "আপনারা কি দয়া করে রেফারেল কেস কমাবেন? প্রেগন্যান্ট মাদারকেও ক্রিটিকল কেস বলে রেফার করে দিচ্ছেন। আর ৫ ঘণ্টা-৬ ঘণ্টা ধকল সহ্য করতে না পেরে সে যখন কলকাতায় এসে পৌঁছচ্ছে, তখন অপারেশন থিয়েটারে যাওয়ার আগেই মারা যাচ্ছে। এটা কি আপনাদের পক্ষে ভাল?" একইসঙ্গে আধিকারিকদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের কোন কোন রেফারেল কেসে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে সেগুলিও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন তিনি। এই ধরনের ঘটনায় যাঁরা রেফার করছেন, তাঁদের দায়িত্ব নিতে হবে বলেও সাফ জানিয়েদেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "আজকে যদি ইনস্টিটিউশানাল ডেলিভারি ৯৯ শতাংস হয়ে থাকে, তাহলে এটা হবে কেন? এই ধরনের জিনিস যেন আর না হয়।"
এদিন বৈঠকে উপস্থিত এক আধিকারিককে এই বিষয়ে আরও কঠিন হওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে সারপ্রাইড ভিজিটের পরমর্শও দেন তিনি। আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "কখনও জীবনে আপনারা সারপ্রাইজ ভিজিট করেছেন? আগে থেকে বলে দিলে তো জেনে যাবে। আমি শুনেছি আমাদের একজন হেলথ সেক্রেটারি ছিলেন, তিনি জনগণের লাইনে দাঁড়িয়ে পড়তেন। শীতকাল আসছে, চাদরমুড়ি দিয়ে আপনি লাইনে দাঁড়িয়ে পড়লেন দেখবার জন্য। খবর দিয়ে গেলে আপনাকে বলবে না। চেপে যাবে।" অন্যদিকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির জন্য সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে বলেও এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন - শরীরের ফ্যাট কমায় মেথি, খেতে হবে এই ৫ নিয়মে