scorecardresearch
 

বাংলা ভাগের বিরোধিতায় কি TMC-কে সমর্থন দেবে বাম-কংগ্রেস? নেতারা যা বললেন...

জন বার্লার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কার্যত দু'ধরনের মতামত শোনা গিয়েছে বিজেপির (BJP) অন্দরে। বিশেষত উত্তরবঙ্গের বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ এই বিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য না করলেও আনন্দময় বর্মন, শিখা চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতানেত্রীরা জন বার্লার তালে তাল মিলিয়েছেন। অন্যদিকে আবার এই ইস্যুতে বিজেপির কড়া সমালোচনায় করেছে তৃণমূল। বিজেপি বাংলা ভাগের চক্রান্ত করছে বলেও অভিযোগ রাজ্যের শাকসকদলের। 

Advertisement
সুখবিলাস বর্মা ও অশোক ভট্টাচার্য (বামদিক থেকে) সুখবিলাস বর্মা ও অশোক ভট্টাচার্য (বামদিক থেকে)
হাইলাইটস
  • বিজেপি-তৃণমূলের কড়া সমালোচনায় বাম-কংগ্রেস
  • উত্তরবঙ্গ ইস্যুতে আন্দোলন গড়ে তুলবে বামেরা, বললেন অশোক
  • কংগ্রেস দ্বিচারিতা করে না, মন্তব্য সুখবিলাসের

জন বার্লা (John Barla) উত্তরবঙ্গকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে পড়ে তোলার দাবি জানানোর পর থেকেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বিজেপি সাংসদের দাবির প্রেক্ষিতে বিভিন্ন মন্তব্য এসেছে রাজনৈতিক দলগুলির নেতানেত্রীদের তরফে। এই নিয়ে কার্যত দু'ধরনের মতামত শোনা গিয়েছে বিজেপির (BJP) অন্দরে। বিশেষত উত্তরবঙ্গের বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ এই বিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য না করলেও আনন্দময় বর্মন, শিখা চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতানেত্রীরা জন বার্লার তালে তাল মিলিয়েছেন। অন্যদিকে আবার এই ইস্যুতে বিজেপির কড়া সমালোচনায় করেছে তৃণমূল। বিজেপি বাংলা ভাগের চক্রান্ত করছে বলেও অভিযোগ রাজ্যের শাসকদলের। 

এই পরিস্থিতিতে কী বলছে উত্তরবঙ্গের বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব? সিপিআইএম (CPIM) নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, "আমরা প্রথম থেকেই দার্জিলিং-এর গোর্খাল্যান্ডের দাবির বিরুদ্ধে, পৃথক কামতাপুরি রাজ্যের দাবির বিরুদ্ধে, আর এখন পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিরও বিরুদ্ধে। বিজেপি বা তৃণমূল মানুষের প্রাথমিক চাহিদাগুলি নিয়ে ভাবে না, শুধুমাত্র সেখান থেকে মানুষের নজর ঘোরানোর জন্য এই বিষয়গুলি নিয়ে আসে।" পাশাপাশি কংগ্রেস (Congress) নেতা সুখবিলাস বর্মা বলেন, "আমার চিরকাল যা বলেছি, এখনও তাই বলছি, উত্তরবঙ্গ পশ্চিমবঙ্গেরই অংশ। কামতাপুরি আন্দোলনও দীর্ঘদিন ধরে চলেছে, আমরা সবসময় তার বিরোধিতাই করেছি।" একইসঙ্গে আলিপুরদুয়ারের সাংসদকে কটাক্ষ করে সুখবিলাস আরও বলেন, "জন বার্লা কে? তিনি কত বড় নেতা? তিনি কেউ নন।" 

এদিকে জন বার্লার এই মন্তব্যের বিরেধিতা করে ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে তৃণমূল। আলিপুরদুয়ারের সাংসদের বিরুদ্ধে কোচবিহার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক তৃণমূল নেতা। এমনকী জন বার্লার মন্তব্যকে সমর্থন করার জন্য ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাহলে কি এই ইস্যুতে তৃণমূলকে সমর্থন দেবে বা তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন চালাবে বাম-কংগ্রেস? উত্তরে সিপিআইএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য (Ashok Bhattacharya) বলেন, "তৃণমূলই এই ধরনের আন্দোলনকে উৎসাহিত করেছে। বিমল গুরুং পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি প্রত্যাহার করেননি, তারপরেও তৃণমূল তাঁর সঙ্গে রয়েছে।" এক্ষেত্রে তৃণমূলের সঙ্গে মিলেমিশে নয়, বামেরা নিজেরাই সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে জানান অশোকবাবু। 

Advertisement

অন্যদিকে প্রায় একইরকম মন্তব্য শোনা গেল সুখবিলাস বর্মা (Sukhbilas Barma) মুখেও। তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তো এই সমস্ত বিষয়ে ইন্ধন দিয়েছেন। তিনি গ্রেটার কোচবিহারের নেতাকে সমর্থন দিয়েছেন, কামতাপুরি অ্যাকাডেমি করেছেন। তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াই করার কে? তিনি ভোটের জন্য এসব করবেন, আর পরে বিরোধিতা করবেন, তা চলতে পারে না।" একইসঙ্গে কংগ্রেস এই ধরনের দ্বিচারিতায় বিশ্বাস করে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন সুখবিলাস বর্মা।


 

Advertisement