আজ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের সৃষ্টি গভীর নিম্নচাপ। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে মিগজাউম। এই মুহূর্তে গভীর নিম্নচাপটি দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন অঞ্চলে রয়েছে। এটি ক্রমশ পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। আগামীকাল সিস্টেমটি আবার পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের আসবে। ৫ তারিখ সকালে এটি দক্ষিণ-অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আছড়ে পড়বে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নেল্লোর এবং মাছিলিপত্তনমের মধ্যে দক্ষিণ অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম।
ল্যান্ডফল করার পর এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। আইএমডি আরও বলেছে যে দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলীয় জেলা এবং উত্তর তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির পার্শ্ববর্তী উপকূলীয় জেলাগুলিতে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। রবিবার দক্ষিণ উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির হতে পারে। তবে, বেশিরভাগ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। সোমবার এবং মঙ্গলবার উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ইয়ানামের বিচ্ছিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। ৬ ডিসেম্বরেও রাজ্যে বিচ্ছিন্ন ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলার ওপর খুব একটা পড়বে না। তবে এর প্রভাবে আমাদের রাজ্যে বেশ কিছুটা জলীয়বাষ্প প্রবেশ করবে। প্রচুর পরিমাণে মেঘ ঢুকবে বাংলায়। যে কারণে এই মুহূর্তে আমাদের রাজ্যে তাপমাত্রা কমার কোনও সতর্কতা নেই। ৬ এবং ৭ তারিখ দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হুগলি , কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান ও নদিয়াতে বৃষ্টি হতে পারে। আগামী ৯ তারিখের পর থেকে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা থাকছে। এই মুহূর্তে আমাদের রাজ্যের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি থাকবে। ৯ তারিখের পর থেকে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা আছে। কলকাতার তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রিতে নামতে পারে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কম থাকবে। মানে জাঁকিয়ে শীত পড়তে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বাংলায়।