বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা। সেই ঘূর্ণিঝড়ের নাম 'মোকা'। এ নিয়ে নানা কথা ঘুরছে নেট মাধ্যমে। আদৌ কতটা আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়? সত্যিই কি ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে বাংলায়? এ ব্যাপারে বাংলা ডট আজতক ডট ইন-কে স্পষ্ট জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
চলতি সপ্তাহেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলেছে ঘূর্ণাবর্ত। যা পরের সপ্তাহেই ঘূর্ণিঝড় পরিণত হতে পারে পূর্বাভাস। মোকা ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা থাকলেও তা কবে কোথায় আছড়ে পড়বে, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। অন্তত তেমনটাই জানাল হাওয়া অফিস।
বাংলা ডট আজতক ডট ইন-কে ফোনে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'আগামী ৬ মে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা। গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ৯ মে মধ্য বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।' কোথায় ওই সাইক্লোন ভূখণ্ডে আছড়ে পড়বে বা তাঁর গতি কত হবে, সে সব নিয়ে জানাননি সঞ্জীব। তাঁর কথায়,'নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পর এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে। আমরা নজর রাখছি।' উল্লেখ্য, এই ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করেছে ইয়েমেন।
দক্ষিণবঙ্গে ৬ মে থেকে দিনের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। ১০ মে পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ১০ মে পর্যন্ত উপকূলের জেলাগুলিতেও বৃষ্টি বা ঝড়ের কোনও সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন- ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'মোকা'? যেভাবে এল এমন নাম...
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে,৬ মে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। ৭ মে পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা। ৮ মে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তার পর মুপ্রায় উত্তর দিকে হয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আন্দামান নিকোবার আইল্যান্ড তার মানে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অতি থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আন্দামান উপকূলে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ৭ থেকে ১১ মে পর্যন্ত যাঁরা গভীর সমুদ্রে চলে গিয়েছে তাঁদের শীঘ্রই ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে আন্দামান নিকোবরে।