Digha Jagannath Temple: অক্ষয় তৃতীয়ায় দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন ঠিক কখন? মুখ্যমন্ত্রী বিস্তারিত যা জানালেন

আগামী ৩০ এপ্রিল দিঘার নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন। তার দুই দিন আগে, সোমবার দিঘা পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর চপার হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। এরপরেই সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী জানান, ৩০ এপ্রিল দুপুর আড়াইটে থেকে তিনটের মধ্যে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন হবে।

Advertisement
অক্ষয় তৃতীয়ায় দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন ঠিক কখন? মুখ্যমন্ত্রী বিস্তারিত যা জানালেন

আগামী ৩০ এপ্রিল দিঘার নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন। তার দুই দিন আগে, সোমবার দিঘা পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর চপার হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। এরপরেই সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী জানান, ৩০ এপ্রিল দুপুর আড়াইটে থেকে তিনটের মধ্যে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন হবে।  

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই দ্বারোদঘাটন নিয়ে তুঙ্গে প্রস্তুতি। দিঘাজুড়ে রীতিমতো সাজো সাজো রব। বাহারি আলো, ব্যানারে সাজিয়ে তোলা হয়েছে সৈকত শহর। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি নিরাপত্তা ও প্রস্তুতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। রাজ্যের মুখ্যসচিব, ডিজি-সহ পাঁচজন মন্ত্রী এবং বহু শিল্পপতি আগে থেকেই দিঘায় থাকবেন।
 

নতুন জগন্নাথ মন্দির চত্বরে এখন ব্যাপক আচার-অনুষ্ঠান চলছে। গত শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েচে। অস্থায়ী আটচালা ঘরে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা এবং সুদর্শন দেবতাকে ১২ লিটার দুধ দিয়ে স্নান করানো হয়েছে। মন্দিরের বিমলা, লক্ষ্মী, সত্যভামা সহ অন্যান্য দেবতাদেরও একইভাবে স্নান সম্পন্ন হয়েছে। সকাল থেকেই শুরু হয়েছে পবিত্র হোমযজ্ঞ। পুরীর মন্দিরের রাজেশ দৈতাপতির নেতৃত্বে চারদিকে চারটি হোমকুণ্ড এবং মাঝখানে মহাকুণ্ডে জ্বলছে হোমাগ্নি।

সেই বিষয়েই মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, 'আগামিকালও যজ্ঞ চলবে। এরপর ঠাকুরের প্রতিষ্ঠা-সহ নানা ধর্মীয় আচার-বিধি রয়েছে।'

গর্ভগৃহে প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবতাদের আহ্বান করা হয়েছে। পাশাপাশি ২৫ জন মহিলা কলম হাতে গর্ভগৃহ প্রদক্ষিণ করেছেন। ২৯ এপ্রিল মহাযজ্ঞের আয়োজন হবে এবং তার আগে পর্যন্ত প্রতিদিন চলবে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ৩০ এপ্রিল মন্দিরের দ্বারোদঘাটন এবং দেবতাদের প্রাণপ্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হবে।

মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, দিঘায় এই মন্দির গড়ে তোলার ফলে আগামিদিনে আরও বেশি পর্যটক এখানে আসতে আগ্রহী হবেন। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমাদের বাংলার সবচেয়ে বড় শান্তির প্রতীক চৈতন্যদেব, তিনি অনেকদিন পুরীতে ছিলেন। দিঘায় যেহেতু একটি সমুদ্র আছে এবং যেহেতু এখানে অনেকে বেড়াতে আসেন, তাই এখানে একটি মন্দির গড়ে পর্যটকদের আকৃষ্ট করা হবে।'

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement