বিদ্যুৎ দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ উঠল বালুরঘাটে। শনিবার ওই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় বিদ্যুৎ দফতরের অফিস চত্বরে।
ওই অফিসেই ভুয়ো ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া চলছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বালুরঘাট থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।
সংস্থার কাগজপত্র খতিয়ে দেখতে রাতে ওই সংস্থার কর্মীদের থানায় ডেকে পাঠায় পুলিশ। যদিও বালুরঘাট বিদ্যুৎ দফতর ইন্টারভিউয়ের কথা অস্বীকার করেছে। তাদের পক্ষ থেকে সাফ জানানো হয়েছে, কোনও সংস্থার মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের কোনও রকম তথ্য তাদের কাছে নেই বা আসেনি।
আরও পড়ুন: পুজোমণ্ডপ এখন সেফ হোম! পথ দেখাল কলকাতার গল্ফ ক্লাব রোড
তা হলে কী করে সরকারি অফিসে ভুয়ো ইন্টরাভিউ প্রক্রিয়া চলছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমন ভাবে কর্মী নিয়োগ হলে তাদের কাছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে তথ্য আসে বলেই বালুরঘাটের স্টেশন ম্যানেজার বিশ্বজিৎ মন্ডল জানিয়েছেন। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, বালুরঘাট বিদ্যুৎ দফতরের অধীনে একটি সংস্থার মধ্য দিয়ে মিটার সার্ভে অফিসার নেওয়া হচ্ছিল। বালুরঘাট বিদ্যুৎ দফতরে এই কাজের জন্য এদিন বেশ কিছু বেকার যুবক-যুবতীকে ডাকা হয়েছিল।
বিদ্যুৎ দফতরের ভেতরেই চুপিসাড়ে চলছিল এই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। ওই সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, দু'জনকে নিয়োগ করা হবে। কিন্তু আরও ১০ থেকে ১২ জন এই চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে হাজির হন বালুরঘাট বিদ্যুৎ দফতরে। এতেই বাঁধে ঝামেলা।
দু'জনকে নিয়োগ করা হবে বলে দেখানো হয়। অভিযোগ, যারা নিযুক্ত হবে, তারা আগে থেকেই নির্বাচিত ছিলেন। প্রশ্ন এখানেই। তাহলে বাকি ১০ থেকে ১২ জন কোথা থেকে এলেন?
অভিযোগ, তাদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিছু অসাধু লোক এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলেই দাবি স্থানীয়দের।
পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে বালুরঘাট থানার আইসি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। কারা এই কাজ করেছে, তার তদন্ত শুরু করেছে। সেখানে উপস্থিত মানুষজনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের কাছ থেকেও এ ব্যাপারে তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদক: মৃদুল হোড়