বিজেপির সাংগঠিক জেলার সভাপতি রদবদল হতেই প্রকাশ্যে দলের অন্তর্কলহ! হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন পাঁচ বিধায়ক। মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের গুরুত্ব না দেওয়াই ক্ষোভের কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। এনিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে তৈরি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন পাঁচ মতুয়া বিধায়ক- গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী এবং কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়। যোগাযোগ করা হলেও এনিয়ে কোনও কথা সংবাদমাধ্যমে বলতে চাননি বিধায়করা।
ঘটনা হল, বৃহস্পতিবার রাজ্য কমিটি ঘোষণা করেছে বিজেপি। ওই কমিটিতে ঠাঁই দেওয়া হয়নি কোনও মতুয়া নেতাকে। তার পর আজ, শনিবার সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পদেও বদল করা হয়েছে। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন রামপদ দাস। তিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের নন। তাতে মতুয়া জনপ্রতিনিধিদের ক্ষোভে ঘৃতাহুতি পড়েছে।
'নিজগুনে' পরের পর উইকেট পড়ছে বিজেপির | ''আজ আরও পাঁচটি গেলো মনে হচ্ছে | শিববাবু শুনলাম সব শুনে কৈলাশে গেছেন | আসল বাঙালি কাঁকড়াদের খুঁজিয়া পাইবার একমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্টান - মুরলীধর লেন |
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) December 25, 2021
অনেকেই বলছেন, মতুয়া নেতাদের দলে প্রাধান্য় না দেওয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বিধায়কদের মধ্যে। গ্রুপত্যাগী পাঁচ বিধায়কই মতুয়া সম্প্রদায়ের। শান্তনু ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ। দলকে বার্তা দিতে তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করছেন অনেকে। সেই সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়েছে শান্তনুর দিল্লি গমনে। শোনা যাচ্ছে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করবেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ। বিধানসভা ভোটের আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী চালু করা নিয়ে কেন্দ্র গড়মসি করায় দলের বিরুদ্ধে উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন শান্তনু। সেবার অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর তাঁর ক্ষোভ প্রশমিত হয়। তখনই দলে মতুয়া প্রতিনিধির সংখ্যা বাড়ানোর আশ্বাস আদায় করে নিয়েছিলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ।
আরও পড়ুন- উপনির্বাচনের পর পুরভোটের জনাদেশেও কংগ্রেস-ত্যাগেই লাভ CPM-র!
বিধানসভা ভোটের পর উপনির্বাচন, তার পর কলকাতা পুরভোটেও বিপর্যস্ত বিজেপি। তৃণমূল থেকে আসা অধিকাংশই নেতাই ফিরে গিয়েছেন পুরনো দলে। কর্মীদের মনোবল তলানিতে। নতুন বছরের শুরুতেই রাজ্যের পুরসভাগুলিতে ভোট। আর উত্তর ২৪ পরগনার কিয়দংশ পুরসভা মতুয়া প্রভাবিত। হার-জিত নির্ণয় করে দিতে পারেন মতুয়া ভোটাররা। বলাই বাহুল্য, পাঁচ মতুয়া বিধায়কের মনোবেদনা দলকে বিপাকে ফেলবে। প্রত্যাশিতভাবে বিজেপির এহেন দশা নিয়ে টিপ্পনি কেটেছে তৃণমূল। তারা জানিয়েছে, বিজেপির আর অস্তিত্ব থাকবে না বাংলায়। এটা সবে শুরু।
আরও পড়ুন-নজরে পুরভোট, কলকাতা-সহ অধিকাংশ জেলায় সভাপতি বদল বিজেপির