কিছুদিন আগে উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান বদল হয়েছে। আর এবার নতুন ভবন পাবে ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদ। এতদিন শ্রীরামপুরের দফতর থেকে পরিচালনা হত উন্নয়ন পর্ষদের কাজকর্ম। তবে এবার নিজস্ব দফতর। ফুরফুরা শরিফ গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের পাশেই তৈরি হচ্ছে নয়া ভবনটি। আগামী ২৪ মার্চ পর্ষদের বৈঠকে নতুন দফতরের উদ্বোধন নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে হঠাৎ করে এই ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত কেন, তাই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে কোনও কোনওমহলে। সম্প্রতি পীরজাদা তথা ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক (ISF MLA) নওশাদ সিদ্দিকীর গ্রেফতারিকে ঘিরে তৃণমূল কংগ্রেস তথা রাজ্য সরকার সঙ্গে ফুরফুরা শরিফের (Furfura Sharif) একাংশের সম্পর্কে উত্থানপতন দেখা দেয়। অন্যদিকে এরই মাঝে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে পরাজয় হয়েছে তৃণমূলের। সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবারের দলীয় বৈঠকে সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কারণ সংখ্যালঘু ভোটারদের ওপরে ফুরফুরা শরিফের একটা প্রচ্ছন্ন প্রভাব রয়েছে বলেই মনে করছেন কেউ কেউ। আর সেই কারণেই তড়িঘড়ি এই ভবন নির্মানের সিদ্ধান্ত কি না, এখন সেই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে কারও কারও মনে।
যদিও ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা হুগলির আদিসপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত অবশ্য এই যুক্তি মানতে নারাজ। এই বিষয়ে সাংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, "অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা হয়ে ছিল। কাজও শুরু হয়ে গিয়েছিল অনেক আগে। এর সঙ্গে ভোটের হিসেব জোড়া অর্থহীন"।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর ফুরফুরা শরিফের জন্য উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই সময়েই পর্ষদের অফিস করা হয়েছিল শ্রীরামপুরে। সেই অফিসে বসে কখনও দায়িত্ব সামলেছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কখনও জেলাশাসক, কখনও আবার ফিরহাদ হাকিম। তবে সম্প্রতি ফিরহাদকে সরিয়ে পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয়েছে তপন দাশগুপ্তকে। দায়িত্বে এসে ইতিমধ্যেই বেশকয়েকবার ফুরফুরা শরিফে ঘুরেও এসেছেন আদিসপ্তগ্রামের বিধায়ক।
আরও পড়ুন - মিথুনে মঙ্গল, কেরিয়ার-অর্থ-জীবনে ৫ রাশির সমস্ত স্বপ্নপূরণ