১৪ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। এবছর মাধ্যমিকের ইংরেজির প্রশ্নপত্র বাইরে ফাঁস হয়ে যাওয়া নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল। পুনরাবৃত্তি রুখতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার আটকাতে বিশেষ উদ্যোগ নিল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। গতকাল, শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে তেমনটাই জানিয়েছেন সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।
আগামী মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। শেষ হবে ২৭ মার্চ। ছাত্র ছাত্রীরা সকাল ১০টা থেকে ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত নির্দিষ্টকেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, রাজ্যের যে সমস্ত পরীক্ষাকেন্দ্র সমস্যাসঙ্কুল, মূলত সেই কেন্দ্রগুলিতেই থাকবে বিশেষ পাহারার ব্যবস্থা।
মোট ২০৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রকে বিশৃঙ্খলাপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে সংসদ। মালদায় ওইরকম পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা বেশি। মোট ৫২টি এমন পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে এই জেলায়। এ ছাড়াও অন্যান্য জেলায় আরও শিক্ষা কেন্দ্র থাকছে। সংসদ জানিয়েছে, এই ২০৬টি কেন্দ্রের মধ্যে বাছাই করা কেন্দ্রগুলিতে আরএফডি ব্যবহার করা হবে। তবে সেগুলি কোন কোন কেন্দ্র তা স্পষ্ট করে জানায়নি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
তিনি বলেন, “পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে আমরা রাজ্যের অতি স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর ব্যবহার করব। মোবাইল ফোন ছাড়াও পরীক্ষাকেন্দ্রে অনেক সময় অন্যান্য ইলেকট্রনিক বস্তুও নিয়ে ঢুকে যায় পড়ুয়ারা। সেটাও যাতে আটকানো যায়, সেকারণেও এই ডিটেক্টর ব্যবহার করা হবে। এবছর উচ্চমাধ্যমিকে পাইলট প্রোজেক্ট হিসাবে এটাই শুরু করা হচ্ছে।”
এর পাশাপাশি সংসদ জানিয়েছে, এবার শুধুমাত্র ভ্যেনু সুপারভাইজারদেরই মোবাইল ফোন ব্যবহার করার অনুমতি রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকারাও ফোন নিজের কাছে রাখতে পারবেন না পরীক্ষা চলাকালীন। যখন প্রশ্নপত্র খোলা হবে, তখন কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে ভিতরে থাকতে পারবেন না। নির্দেশ সত্ত্বেও যদি কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন ভ্যেনু সুপারভাইজার।
এছাড়াও সাংবাদিক বৈঠকে সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশের চেষ্টা করা হবে।
আরও পড়ুন-রাজ্যের একাধিক জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা, বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া